
আগামী ১৪ জুলাই শ্রমিক জনতার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগ এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৮জুন) ১১ ঘটিকার সময় স্টেশন রোডস্থ একটি হোটেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের কমিটির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোছাইন, আরো বক্তব্য রাখেন- মিয়া মিজান, স. ম. জামাল উদ্দিন, ইদ্রিস মিয়া, এম. আর. মঞ্জু, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, রফিকুল ইসলাম, মমতাজ উদ্দিন, আব্দু শুক্কুর, হিজবুল বারী, মোতালেব চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, তাহের আহমদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আজম উদ্দিন, মমতাজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, এম এ বাতেন, গাজী আইয়ুব আলী, আনোয়ার আজিম সবুজ, মোহাম্মদ হারুন, আবু জাফর, ইব্রাহিম ফরাজী, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নাছির উদ্দিন, নিজামুদ্দিন, সফিকুর রহমান মজুমদার, মোহাম্মদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ডাক্তার মহসিন খান তরুন, আবু তাহের, জান্নাতুল ফেরদৌস বিথী, নজরুল সরকার, আব্দুল মান্নান, কবির হোসেন, কুতুবউদ্দিন, মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, আজিজুদ্দিন মিন্টু, জসীম উদ্দিন প্রমুখ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা, মহানগর নেতৃবৃন্দ স্বত:স্ফুর্তভাবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন- আগামী ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে শ্রমিক জনতা সমাবেশ একটি ঐতিহাসিক সমাবেশে পরিণত হবে। বর্তমান অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকার শ্রমিক বিরোধী সরকার। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল নামে একটা কালো আইন তৈরী করতে যাচ্ছে এ সরকার। যা শ্রমিকদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়ে আরেকটি চক্রান্ত। ইতিমধ্যে সকল সেক্টর ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। পরিবহন সেক্টরে এক নৈরাজ্যকর অবস্থা শুরু করেছে। সরকার বিআরটিএর কর্মকতারা দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। এছাড়াও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যেসব চক্রান্ত চলতেছে তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। শ্রমিকেরা এর বিরুদ্ধে অনেকবার রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে যেভাবে শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে, যেভাবে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে- তা কখনও মেনে নেবার মত নয়। অবিলম্বে আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে। সভাপতি এ. এম. নাজিমুদ্দিন তার বক্তব্যে বলেন, অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারছে। তা হতে দেওয়া যায় না। গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনে ভোটের অধিকার ভাতের অধিকার গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য শ্রমিক সমাজকে আগামী ১৪ জুলাই শ্রমিক জনতার সমাবেশকে সফল করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই এই সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার তার বক্তব্যে বলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শ্রমিক জনতার সমাবেশ চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের উদ্যোগে আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এই দেশের শ্রমিক সমাজ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। দেশ স্বাধীন করেছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। গণতন্ত্র মুক্তি করেছে, বর্তমানে ভোটের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকার। যা কেড়ে নিয়ে অবৈধ সরকার চট্টগ্রাম এর বিরুদ্ধে এবং চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। তাই শ্রমিক সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন কিছুর মূল্যে প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত আছে। আমি সকল স্তরের শ্রমিকদের প্রতি আহবান করব- সাংগঠনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১৪ই জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক জনতার সমাবেশ, ঝড়-বৃষ্টি তুফান বাধা-বিপত্তি যাহাই আসুক না কেন তা সফল করার জন্য উদাত্ত আহ্বান করছি।