
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে উত্তর চান্দগাঁও এলাকার ১১ জন যুবক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভারত যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাউজান মুন্সির ঘাটায় এলে উক্ত যুবকদের কুখ্যাত রাজাকার সাকা চৌধুরীর লোকেরা তাঁদেরকে ধরে নিয়ে সত্তারঘাটে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে তুলে দেয় এবং সন্ধ্যায় সত্তারঘাটে একটি ট্রলারে তুলে ব্রাশ ফায়ার করে ওই ১১ জন যুবককে হত্যা করে হালদা নদীতে ফেলে দেয়। এই শহীদদেরকে স্মরণ ও সম্মান জানাতে দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে তাঁদের স্মরণে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করার জন্য দাবি জানালেও বিষয়টি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। রোহিনী বণিক, রমণী ঘোষ, হরিশংকর ঘোষ, অনুপ আচার্য, দীলিপ ধর, পরিবেশ আচার্য, সুভাষ আচার্য, বিনয় আচার্য, দীলিপ দে, বিজয় ধর ও অরুণ আচার্যের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁদের স্মরণে কুয়াইশ-চান্দগাঁও পল্লী উন্নয়ন সংঘ প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিফলক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৫ মে সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় সকলে উপস্থিত থেকে তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
২৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় কুয়াইশ-চান্দগাঁও পল্লী উন্নয়ন সংঘ প্রাঙ্গণে প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে সুভাশীষ আচার্য টিটুর উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। অরুণ চন্দ্র বণিকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপুল ধর, রাজু শীল, সুদীপ শর্মা, আরিফ আজম তানি, বিকাশ শীল, রিংকন ঘোষ, আবির দেওয়ানজী, উজ্জ্বল শীল, জয় আচার্য, সৈকত ধর, মিরা ধর, দীপ্ত ধর। স্মরণ সভায় সফল করতে স্মরণিকা প্রকাশ, সেমিনার, প্রতিযোগিতা ও স্মৃতিফলক নির্মাণে চারটি উপ-পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় সংঘ প্রাঙ্গণে সবাইকে যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ জানানো হয়।