শনিবার - ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় রুখে দাঁড়াতে হবে : অধ‍্যাপক ড.অনুপম সেন

“জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও স্বাধীনতা বিরোধী আপশক্তি মুক্ত করবো দেশ,গড়বো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ”এ প্রত্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রামের সম্মেলন  ১৫ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংগঠনের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজ বিজ্ঞানী ও বার্লাদেশ আওয়ামী লীদের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. অনুপম সেন। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরমের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলন উদ্বোধন করেন সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
সম্মেলনে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন হাবীব এর শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী।
এতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন আবদুল মালেক খান, সম্মেলনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশি।
বক্তব্য রাখেন মোঃ নাজিম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, রাজিব চন্দ, রঘুনাথ মজুমদার, ছাত্র নেতা আবু বক্কর প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের নেতা ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া ও ডা: একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকী।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি ড. অনুপম সেন বলেন, বাঙ্গালি জাতির জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা। আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা। জাতির জনকের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে অশুভ চক্র মুক্তিযুদ্ধের রক্ত রঞ্জিত সব অর্জন লুণ্ঠন ও ইতিহাসের যাত্রাপথ রুদ্ধ করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত ও মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের পরিকল্পিত পুনর্বাসন করা হয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি আজও আবার নতুন আঙ্গিকে সরব হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রধান বক্তা এম. এ সালাম বলেন, তথাকথিত তারুণ্যের সমাবেশের নামে চট্টগ্রামে যারা পরিকল্পিত সন্ত্রাস, নাশকতা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর করেছে সেই সব বিপদগামী তরুণ যুবকদের পেছনের মদদদাতাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা হবে। অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এবার তাদের অপকর্ম জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে।
বিশেষ অতিথি মোতাহের বলেন,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা যারা থামিয়ে দিতে চায় তাদেরকে রুখে দাড়াতে হবে। উদ্বোধক বেদার বলেন,যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী সংগঠন জামাতকে আইন করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিত্রমে আবদুল মালেক খানকে সভাপতি, এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশিকে নির্বাহী সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়–য়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৬৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়।
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn