মঙ্গলবার - ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

স্তন ক্যান্সার সচেতনায়-মৃত্যু কমায়

স্তন ক্যান্সার সচেতনায়-মৃত্যু কমায়

 

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৩০০০ জন নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ৭,০০০ জন মারা যায়। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় এই ক্যান্সার ধরা পড়লে এবং যথাযথ চিকিৎসা নিলে তা নির্মূলের সম্ভবনা প্রায় শতভাগ। একান্ত সাক্ষাৎকারে বলছিলেন ডা: মনি রানী, ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রংপুর,কাদের স্তন ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বেশি? ১। মহিলারা, বিশেষ করে যাদের ৩০ বছর বয়সের পরে প্রথম সন্তান হয়েছিল, ২। বয়স বাড়ার সাথে সাথে। ৩। অতিরিক্ত ওজন,৪। অতীতে স্তনের কোন সমস্যা যেমন ফাইব্রোএডিনোমা, সিস্ট বা ক্যান্সার হয়েছিল, ৫। যাদের পরিবারে (মা, খালা, বোন, নানি, বাবা) ব্রেস্ট ক্যান্সার এর ইতিহাস আছে, ৬। জন্ম নিয়ন্ত্রনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিরোধক বড়ি (OCP) এবং পোস্ট-মেনোপজাল হরমোন থেরাপি ব্যবহার করা ৭। অন্য যে কোন কারনে যাদের বুকে রেডিওথেরাপী দেয়ার ইতিহাস আছে, ৮। মাসিক ১২ বছর বয়সের পূর্বে শুরু হলে,অথবা মাসিক ৫৫ বছরের পরে বন্ধ হলে ৯। ধুমপান বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করলে,১০। জেনেটিক কারণ: BRCA1 এবং BRCA2 নামক কিছু জিন মিউটেশন স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ কি কি? ১। স্তন ও বগলে কোন চাকা বা গোটা বা মাংস পিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভূত হওয়া
২। স্তনের আকার পরিবর্তন হওয়া
৩। স্তন বা স্তন বৃত্ততে ব্যথা
৪। স্তনের বোঁটা বা ত্বক লালচে এবং শুষ্ক হয়ে যাওয়া। স্তনের ত্বকে ডিম্পলিং বা পিটিং, কমলার খোসার মতো হওয়া
৫। উল্টানো স্তনবৃত্ত, যা আগে উল্টানো ছিল না,
৬। স্তন থেকে সাদা তরল (স্রাব) বা রক্ত মিশ্রিত তরল বেরিয়ে আসা
৭। বাহুর নিচে বা গলার হাড়ের কাছে ফোলা অনুভূত হওয়া।
ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় হলে পুরোপুরি সেরে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমাদের দেশে অধিকাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয় হয় এডভান্সড পর্যায়ে। কারণ আমাদের দেশের মহিলাদের ব্রেস্টে কোন চাকা বা টিউমার বা মাংসপিণ্ড দেখা দিলে সামাজিক কারণে তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে চান না। একদম শেষ পর্যায়ে যখন রোগীর অনেক সমস্যা দেখা দেয় তখন তারা চিকিৎসার জন্য আসেন। ততদিনে রোগটি অনেকদূর ছড়িয়ে পড়ে। ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে জনসচেতন বাড়াতে হবে ডা: মনি রানী,ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রংপুর।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn