র্যাব হেফাজতে নিহত নওগাঁ ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনের আর্থিক লেন-দেনের প্রমান পত্রে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে।
সুলতানার হাতে লেখা প্রমান পত্রগুলো তার স্বজনরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।
৪৬ পাতা প্রমান পত্রের মধ্যে একটি পাতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, অঙ্কে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা, ৫ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে।
সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন। সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু জানান, নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো তার ভাগ্নী। সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়। সেই পত্রগুলোতে দেখা যায়- মৃত্যুর আগে সম্প্রতিক সময়ে সুলতানা বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানো কথা লিখে রেখেছিলো। প্রমানপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
৪৬ পাতা প্রমানপত্রের একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। সেই কাগজে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও ৫০ হাজার টাকা দেনদেনের কথা উল্লেখ আছে। বেশীর ভাগ চীরকূটে যুগ্ম সচিব এনামূল হকের নাম ও বেশকিছু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বর রয়েছে।
সুলতানার হাতে লেখা এসব প্রমান পত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামূল হকের দায়ের করা মামলা ও মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে বলেন মন্টু।
সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে এনামূল হকের দায়ের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্ধি রেকর্ড করেছে তদন্ত কমিটি।
এই কমিটির আহবায়ক মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের বলেন, খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কেই প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সুলতানার আর্থিক লেনদেনের প্রমানপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন- বিষয়টি তার জানা নেই। সুলতানা জেসমিনকে তিনি চিনতেন না বলে দাবি করেন। সুলতানার সাথে তার পরিবারের কারো কোন সম্পর্ক ছিলোনা বলেও দাবি করেন এডিসি মিল্টন।