
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের আল- জাবেদ মার্কেটের দো-তলাস্থ একটি কক্ষে নারীসহ আটকের পর স্থানীয়দের প্রতি দম্ভ দেখিয়েছেন এক শিক্ষক ও সাংবাদিক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে ঐ নারীসহ উক্ত মার্কেটের একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন ঐ শিক্ষক। দীর্ঘ সময় পার হলে বিষয়টি রহস্যজনক ভেবে স্থানীয়রা ঐ কক্ষে তাদেরকে আটক করেন। ঘটনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়। এ সময় আটককারীদের প্রতি দম্ভ দেখিয়ে ঐ শিক্ষক বলেন- ‘দরজা বন্ধ করাটা আমার ভুল হয়েছে। ওমরা কেটা, ওটা আমার পিয়নের মা। তোমরা আমাকে চেনো-না। আজকে ৩০ বছর ধরি তোমাদের সাথে থাকি, আর আজকে তোমরা আমাকে চেনো-না। তোমরা ভাবছো অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য, গোপনে টাকা লেনদেন’। তবে, আটককারীদের এক প্রশ্নের জবাবে ঐ নারীও ভুল স্বীকার করে বলেন- ‘কোন অভিযোগ নাই’। স্থানীয়রা জানান, ঐ সাংবাদিক সপ্তাহে ২ দিনে একজন করে নারী এনে এভাবেই ঐ কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে কিছুটা সময় কাটায়। কেউ আনীত নারীর বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে সাংবাদিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ বলে পরিচয় দেয়- ‘আত্মীয়, রাজনৈতিক দলের নেত্রী, মামলা আছে, অভিযোগ আছে ইত্যাদী-ইত্যাদী। এসব কাজে ‘এ’ অফিসার, ‘ও’ অফিসারের কাছে কাজ আছে। তা তোমাকে (কৌতুহলী প্রশ্নকারীকে) বলতে হবে না-কি’? -এ বলে এতদিন দাম্ভিকতা দেখিয়ে আসছিল শিক্ষক। বাহিরগোলা মোড় থেকে উপজেলাগামী প্রধান সড়কের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত উক্ত আল-জাবেদ মার্কেটের দো-তলার ঐ কক্ষের সামনে দৃশ্যমান স্থানে একটি প্রেসক্লাব’র সাইনবোর্ড ঝুলন্ত থাকলেও সেখানে সংশ্লিষ্ট কোন কমিটি বা কার্যক্রম নেই। তারা আরো জানান, দীর্ঘদিন থেকে ঐ শিক্ষক নিজেকে সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ নানান হাইব্রিড পরিচয় দিয়ে নির্বিঘ্নেই ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। যাা অনেকেই চুপিসারে জেনেছেন। তিনি একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নিজ ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড সভাপতি ছাড়াও নিজেকে আরো নানান গালফুলা হাইব্রিড পরিচয় দিয়ে থাকা। তিনিি রহস্যজনকভাবে বিগত দিনে এক কর্তার সঙ্গে সখ্যতার ফলে একাধিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বিজয়ী করে দেয়ারমত ভোটের ঠিকাদারী, দাপ্তরিক দালালী করায় তার কার্য-কলাপের প্রতি ঘৃণাভরে ধিক্কার জানিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিষয়টি ভিন্নভাবে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।