
সীতাকুণ্ডে বঙ্গবন্ধুর শোকব্যানার ছেঁডার মহোৎসব : অভিযোগের তীর স্থানীয় আওয়ামীলীগের দিকে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুরো সীতাকুন্ডসহ বিমান বন্দর সড়কে শোকাবহ আগস্টের ব্যানার টাঙ্গানো হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরীর সৌজন্যে।
মূলত তিনি বঙ্গবন্ধুর একজন নির্ভীক সৈনিক। এদেশ স্বাধীন করার জন্য বন্দুক হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে যান। স্বাধীন বাংলাদেশের গোড়াপত্তনে রয়েছে তার অসামান্য অবদান।
আর এই মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আগস্ট মাসের প্রথম দিকেই ঢাকা -চট্টগ্ৰাম হাইওয়ের সিটি গেইট থেকে উত্তর দিকে বড় দারোগার হাট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর যাওয়ার পথে গোল চত্বর নিয়ে বিমানবন্দর রাস্তার ডান পাশে ফ্রেমে বাঁধা বহুসংখ্যক বড় আকারের ব্যানার টাঙ্গান। এসব ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে এবং নীচে বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরীর নাম রয়েছে। তিনি নাম ব্যতীত কোন পদপদবীও লিখেন নি, এরপরও তার৷ ব্যানারগুলো রক্ষা পায়নি দুষ্কৃতকারীদের কবল থেকে।
তবে ব্যানার গুলো টাঙ্গানোর ৩ থেকে ৪ দিনের মাথায় কে বা কারা এসব ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। যা বঙ্গবন্ধুকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার সামিল বলে মন্তব্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী।
শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত আমার ব্যানার ছিঁড়লেও আসে পাশে আর কোনো ব্যানার ছিড়েনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। কাটা-ছেঁড়াকৃত ব্যানারগুলো এখনো খুঁটির সাথে টাঙ্গানো অবস্থায় দৃশ্যমান আছে বলে জানান এ প্রতিবেদককে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “ব্যানারগুলোতে আমার ছবি তো বটেই এমনকি বঙ্গবন্ধু ও প্রাণপ্রিয় নেত্রীর ছবিও তারা কাটা – ছেঁড়া থেকে বাদ যায়নি। তিনি বলেন, তারা কেমন আওয়ামী লীগ জানিনা বঙ্গবন্ধুর ছবিটা ছিড়ে ফেললো। এটা তারা একটা জঘন্য ও ঘৃণ্যতম অপরাধ করেছে বলে আমি মনে করি। আমি এর সাথে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেশ কিছু দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আমার কাছে তাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন যে, ” সীতাকুণ্ড আওয়ামী রাজনীতিতে ডা: এখলাস উদ্দিনের পরে আপনিই সিনিয়র নেতাদের মধ্যে অন্যতম। আপনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও আপাদমস্তক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সিনিয়র আইনজীবী, সদ্য সাবেক মহানগর পিপি ( দুই বার )। থানা ভিত্তিক রাজনীতিতে গ্ৰুপিং এর উদ্ধে, জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে বর্তমানে দুই বারের সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগ – আওয়ামী লীগের সর্বনিম্ন স্তর থেকে উঠে আসা বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতির সকল নিয়ম-কানুন, কৃষ্টি – কালচার, শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক অধিকার পদদলিত করে হীন, কুরুচিপূর্ণ ও হিংসাত্মক কাজ থেকে বিরত।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্যানার ছিঁড়ার কাজ বিএনপি -জামায়াত করবে না বলে জানান। তিনি বলেন, একমাত্র সরকার দলীয় লোকজন এ জঘন্যতম কাজটি করেছে। বিএনপি জামায়াত এ দুঃসাহসিক কাজ করতে পারে না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম – ৪ (সীতাকুণ্ড) সংসদীয় আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান।
তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে সীতাকুণ্ডকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে সমৃদ্ধ সীতাকুণ্ড হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান।