রবিবার - ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সিদ্ধার্থ কর্মকার আর্ট ফাউন্ডেশনেের পরিচালনায় স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে আর্ট কর্মশালা

সিদ্ধার্থ কর্মকার আর্ট ফাউন্ডেশনেের পরিচালনায় স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে আর্ট কর্মশালা

 

আজ ১৪ই ডিসেম্বর শনিবার।, দেবপুকুর, এহেড সেতু ব্যারাকপুরে অবস্থিত, ভাস্কর প্লাজায়, সিদ্ধার্থ আর্ট ফাউন্ডেশন এর পরিচালনায় এবং সিদ্ধার্থ কর্মকারের উদ্যোগে, সন্দীপন ঘোষ ও সুব্রত করের সহযোগিতায়, স্বনামধন্য ও পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের নিয়ে, সকাল ১০ টা থেকে সারাদিনব্যাপী আর্ট কর্মশালা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।।

যে সকল চিত্রশিল্পী আজকের এই সুন্দর কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন এবং ক্যানভাসে ও তুলির টানে তাদের নিজস্ব চিত্রগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করেন, তাহাদের মধ্যে ছিলেন, চিত্র শিল্পী, সুব্রত ঘোষ , রাজীব শূর রায়, বিবেক পাল, অশোক দত্ত, মলয় দাস, অভিশংকর মিত্র, বরুন দেব , গৌরী ভক্ত, জয়দেব বালা, বিশ্বজিৎ সাহা, গৌতম খামারু, বিধুলা নাথ বাসু, দীপ্তেশ ঘোষ দস্তিদার, জীবন বিশ্বাস, চন্দন বৈতালিক, মানিক ক্ষন্দার, মলয় চন্দ্র সাহা, মিহির কয়াল, শান্তনু বৈদ্য , রূপালী রায়, প্রসেনজিত পাল, পলাশ চন্দ্র বৈদ্য, শান্তনু রায়, সুব্রত কুমার ব্যানার্জি, শেখ শাহজাহান, সৌমিত্র কর, সুব্রত দাস, সুদীপ বিশ্বাস , সুনির্মল মাইতি, উমেশ চন্দ্র বেরা। সকল স্বনামধন্য ও পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের তুলির টানে এবং ক্যানভাসে, আজ সুন্দরময় হয়ে উঠেছিল ভাস্কর প্লাজা,

আর্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ কর্মকার, সকল সম্মানীয় শিল্পীদের উত্তরীয় পরিয়ে এবং হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন, তার সাথে সাথে কয়েকটি কথা বলেন, আমাকে যেভাবে শিল্পীরা সহযোগিতা করেছেন, আমি তাহাদের কাছে কৃতজ্ঞ ও ধন্য, এক কথায় আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আজ উপস্থিত হয়েছেন, এবং সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আর্ট ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সবাই আলোকিত করে রেখেছিলেন।, কৃতজ্ঞতা জানাবো আমার সাথে যাহারা সহযোগিতা করেছেন, কৃতজ্ঞতা জানাবো এহেড সেতু ও ভাস্কর প্লাজার কর্ণধারকে, যিনি এক কথায় আমার পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, কৃতজ্ঞতা জানাবো সুব্রত করকে, যারা আমার পাশে না থাকলে এই অনুষ্ঠান এত সুন্দরময় হয়ে উঠত না, তবে তিনি কি উদ্দেশ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন তারও দুই একটি কথা ব্যক্ত করলেন। এবং এই সকল স্বনামধন্য শিল্পীদের ছবি বিদেশে একটি এক্সিবিশন করারও পরিকল্পনা করেছেন, যাহাতে এই সকল শিল্পীর ছবি বাইরে বিক্রি হয়। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গানওয়ালা বাংলা ব্যান্ডের দলকে, যাহারা এক কথায় আজ উপস্থিত হয়েছেন মঞ্চে।।

একই ভাবে সন্দীপন ঘোষ ও সুব্রত কর জানালেন, এই ভাস্কর প্লাজায় অনেক ছোট ছোট কর্মশালার আয়োজন হয়েছে। কিন্তু আজকের মত স্বনামধন্য শিল্পীদের নিয়ে কখনো কর্মশালা হয় না। মফস্বল এলাকায় এইরকম একটি কর্মশালা করতে পারায়, সিদ্ধার্থ কর্মকার মহাশয় কে ধন্যবাদ জানাই, তাহার উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় এখানকার স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা দেখার সুযোগ পেল , তাদের কাছে এটা বড় প্রাপ্তি, কোনদিনও এইভাবে বড় বড় শিল্পীদের একসাথে দেখার সুযোগ পায়নি, আজ তারা এসে চোখের সামনে দেখতে পেল।

স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী, সুব্রত ঘোষ মলয় সাহা এবং রাজীব সুর রায় জানালেন, সিদ্ধার্থ কর্মকার এই ধরনের উদ্যোগ নেয়ায় আমরা খুশি, বহুদিন বাদে সবাই একসাথে মিলিত হলাম, এবং একটা বনভোজনের মতো আয়োজনও হয়েছে, সকাল থেকে সবাই কিছুটা সময় কাজের পরে হাসি ও গল্পে তে উঠল এই ভাস্কর প্লাজা। সবার শেষে একটা কথাই বলবো সিদ্ধার্থ কর্মকার আর্ট ফাউন্ডেশন আরো সামনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাক, আরো বিভিন্ন জায়গায় শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা গড়ে তুলুক। আমরাও নিশ্চয়ই সহযোগিতার হাত বাড়াবো।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn