
চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানা এলাকা সংলগ্ন কর্ণফুলী নদী থেকে অদ্রিপ অয়ন সায়ান (১৩) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মরদেহ পাওয়ার চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো হত্যার কারণ বের করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় নিখোঁজের স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পেলেও হত্যাকাণ্ডে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। তবে প্রেমঘটিত কারণে ছাত্রের হত্যার গুঞ্জন উঠলেও এ বিষয়ে মুখ খুলেননি তদন্ত সংশ্লিষ্ট কেউ।
জানা যায় , গর ৩১ আগস্ট দুপুরে কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট এলাকা থেকে থেকে ভুক্তভোগী সায়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে নগরের পশ্চিম বাকলিয়ার কেডিএস গলির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাশের ছেলে। সায়ান হাজী মুহাম্মদ মহসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
নিখোঁজের দুদিন আগে নগরের জামালখান এলাকা থেকে ওই শিশু নিখোঁজ হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। এ কারণে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয় অজ্ঞাতমানা আসামিরা ভুক্তভোগীকে স্কুলছাত্রকে হত্যার পর মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছে।
বর্তমানে এ মামলাটির তদন্ত করছে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ। এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, আমরা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া ছাড়া কিছু বলতে পারছি না। কারণ মরদেহ ফুলে যাওয়ায় সুরতহাল প্রতিবেদনে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়নি। তারপরও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
প্রেমঘটিত গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, অনেক ধরনের কথাবার্তা আসছে। আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।
এদিকে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ায় মামলা থানায় দায়ের করা হয়েছে। তবে এটি তদন্তের করছে নৌ পুলিশ। তবে কোতোয়ালি থানা পুলিশও ছায়াতদন্ত করছে। বলার মতো কোনো অগ্রগতি হয়নি।