
মীরসরাইয়ের মিঠাছরা বাজার – বামনসুন্দর দারোগারহাট সড়কটিতে প্রতিদিন শতশত সিএনজি, অটোরিক্সা, পিকআপ, রিক্সা, ভ্যানগাড়ি, মটর সাইকেল, সাইকেল ইত্যাদীতে চড়ে হাজার হাজার মানুষকে চলাচল করতে হয়। এই রাস্তাটি সরকারীভাবে সংস্কার হয়েছে খুব বেশী দিন হয়নি। কিন্তু কয়েকজন মাটি ব্যবসায়ীর হীন মানসিকতা, অসতর্কতা ও অমনোযোগীতার কারণে সেই নতুন পিচ্ ঢালা পথটি আজ সামান্য বৃষ্টিতে ভিজে উঠলে চলাচল অনুপযোগী বিপদজনক হয়ে উঠে। তাদের পিকআপ থেকে পড়া কাঁধা মাটি বৃষ্টিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যায় রাস্তা। এতে পিছলা খেয়ে পড়ে আহত হযচ্ছে প্রতিনিয়ত চলাচলকারী জনসাধারণ।
গত কয়েকদিনে একাধিক মোটরসাইকেল চালক আহত হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মিঠাছরা-বামনসুন্দর দারোগারহাট সড়কের মোঠবাড়িয়া এলাকা, ওলি ফকিরহাট এলাকার পশ্চিম পার্শ্ব সহজ তিন চার জায়গায় রাস্তায় কাদামাটি এমনভাবে লেপটে আছে যে, মূল পিচঢালা রাস্তা দেখা যাচ্ছে না। সেখানকার স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাটি ব্যবসায়ীরা পাশ্ববর্তী জমি থেকে মাটি কেটে তা পিকআপ যোগে বহন করে নেওয়ার সময় সতর্ক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে কিছু কিছু মাটি সড়কে পড়ে যায়। সড়কে পড়ে যাওয়া মাটি বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে ইতিমধ্যে দু-র্ঘটনার শিকার হয়েছেন একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী। অবস্থা এমন সৃষ্টি হয়েছে, যদি খুব দ্রুত এমন অসতর্ক মাটি বহনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, বলা তারা নিজেরা সতর্ক ও সচেতন না হয় তবে যে কোন সময় দূর্ঘটনায় নিহতের ঘটনাও ঘটতে পারে। সে পর্যন্ত ওই সড়কে মোটরসাইকেল চালকদের সতর্কতার সাথে চলাচল করা অথবা ওই সড়কের বিকল্প পথে চলাচল করা উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয় মুরুব্বি জনেরা। অন্যদিকে এলাকার জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাটি নেওয়া ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে ডেকে কড়াভাবে সতর্ক করে বলা হয়েছে – ভবিষ্যতে এমন হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, এখানে ব্যবসায়ীদের থেকেও পিক-আপের ড্রাইভার বেশি দায়ী। তারা নিজেদের ইচ্ছামতো মাটি গাড়িতে পুরায়, যা পরবর্তীতে রাস্তায় ঝরে। আমাদের স্ব-স্ব স্থান থেকে সচেতন না হলে এমন অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো খুব সহজ নয়।