
সাতক্ষীরার তুয়ারডাঙ্গা হাইস্কুলের রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ নানা আয়োজনে তুয়ারডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব।
গ্রাম বাংলার প্রচীন ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলাসহ দিনব্যাপি নানা আয়োজনে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের তুয়ারডাঙ্গা হাজী ফেরাজতুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যলয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম ঈদ পুনর্মিলনী উৎসব। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুল ধরে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার প্রত্যয়ে এ আয়োজনে অংশ নেয় হাজারো মানুষ।
ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে আনন্দময় এ উৎসবের আয়োজন। ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার তালে তালে চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে উৎসাহ দেন শত শত দর্শক। আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ।
আগতরা বলেন, গ্রাম বাংলায় প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী যে খেলাগুলোর প্রচলন ছিল এ উদ্যোগের মাধ্যমে সেগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে। অদুর ভবিষ্যতে এই আয়োজনকে আরো সমৃদ্ধ ও সুদুর প্রসারি করতে সচেষ্ট থাকার কথা বলেন তারা।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, সবাই সম্মিলিতভাবে এই স্কুলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখা, সবার সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখা, সেবামূলক কাজের জন্য উৎসাহিত হওয়ার প্রত্যাশায় এই আয়োজন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নোমান হোসেন বলেন, এই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে যারা বড়বড় কর্মকর্তারা রয়েছেন তারা এই স্কুলকে শিক্ষা দিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় গবেষণায় কিভাবে উপরে উঠানো যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. মুজিবর রহমান বলেন, আমরা চাই গ্রাম বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার হোক। মানুষ তার সেই পুরাতন ঐতিহ্য, পারষ্পরিক সৌহার্দ-সম্প্রীতি আবার ফিরিয়ে আনুক। এই পুনর্মিলনীর মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে আহবান আমরা আবার সেই গ্রামীন সংস্কৃতি ধারন করি-লালন করি, এর মাধ্যমে সুখ শান্তি ফিরে পাবো।