
সাতক্ষীরায় ভেজাল দুধের সিন্ডিকেট সদস্য ৩০, গ্রেপ্তার ২
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ভেজাল দুধ তৈরির কারখানায় ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোমল ঘোষ (৩৮) ও দিলীপ ঘোষ (৪৩) নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তারা দুজনই সদর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, গত ৫ এপ্রিল রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল এসআই (নিঃ) কাবেল আহমেদের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে একটি পুরাতন গোয়ালঘরে গড়ে তোলা ভেজাল দুধ তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়।
অভিযানকালে ওই কারখানা থেকে ২৬০ লিটার ভেজাল দুধ, ২০ লিটার ভেজাল ঘি, ১ ড্রাম ভেজাল ক্রিম, ১২ লিটার সয়াবিন তেল, সোডা ও কাস্টিকসহ ভেজাল তৈরির বিভিন্ন উপকরণ এবং একটি ব্লেন্ডার মেশিন, ওজন মেশিন ও দুধ মেশানোর যন্ত্র জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কোমল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরি করে স্থানীয় বাজার ছাড়াও মিল্ক ভিটা ও ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে আসছিল। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
তিনি আরও বলেন, তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে, হাবারপুর, ফিংড়ী ও আশাশুনি উপজেলার কচুয়া গ্রামের প্রায় ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি এই চক্রে জড়িত। আমরা ইতোমধ্যে এদের শনাক্ত করে নজরদারি বাড়িয়েছি।
এই ঘটনায় সাতক্ষীরা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-সি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নম্বর-০৬, তারিখ-০৬/০৪/২০২৫)।
পুলিশ সুপার স্পষ্টভাবে বলেন, জনস্বার্থে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের অপরাধীদের ছাড় দেব না। এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজামউদ্দিন মোল্লাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।