শনিবার - ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব এর মাসিক চা চক্র আড্ডা অনুষ্ঠিত

সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব এর মাসিক চা চক্র আড্ডা অনুষ্ঠিত

 

গত ২০ ই মে ,মঙ্গলবার ,নিউইয়র্কের ব্রংকসএ সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব এর মাসিক জমপেশ চা চক্র আড্ডা ছিলো।ছিলো কবিতা কথা গল্প গান।যথারীতি তিতাস মাল্টি সার্ভিসেস বি মেহের চৌধুরীর কার্যালয়ে।দিনটি ছিলো রৌদ্রোজ্জল ঝলমল।কবিকুলের মনেও ছিলো আনন্দের ঘনঘটা।দিবসের কর্মশেষে একটু যেনো দম ছাড়া।বিশ্রাম কাজেরই অংশ;যেমন চোখ এবং তাঁর পাতা।চোখ বন্ধ না হলে আবরণে ঢাকা না পড়লে যেমন চোখের আরাম নেই তেমনি কাজের শেষে বিশ্রাম না হলে শরীর মন দুটোই অশান্ত।সেই বিশ্রাম টুকু যদি হয় দিবসের কর্মক্লান্তির পর তা যেনো স্বরগীয় সূধা।খবরে বাপসনিউজ ।

রাত যতো বাড়তে থাকে কবিদের আগমন ততই ঘটতে থাকে।আমাদের ছোট আঙিনায় ঠাঁই দিতে পারছিলাম না।শুরু হলো প্রথমেই কবিতা।কবিতা স্বরচিত করলেন,সূধাংশুমন্ডল,,ননী মল্লিক,জালাল ঊদ্দীন রুমি,আবু তাহের চৌধুরী,কামরুন নাহার খানম,মেহের চৌধুরী,ডঃ দলিলুর রহমান,জুলি রহমান,

বাচিকতায় কবিতা পাঠ করলেন কুইন্স থেকে আগত এম এ সাদেক।তিনি মনের মাধুরী মিশিয়ে আবৃত্তি করলেন মেহের চৌধুরীর বিরহীনি বধূ কতবিতাটি ।বাচিক শিল্পী মনিকা মন্ডল আবৃত্তি করলেন জুলি রহমান এর মুক্তি যুদ্ধের উপর লেখা গেদু মাঝি কবিতাটি।তিনি খুব ভালোভাবেই কবিতাটি করলেন।এরপর বাচিক শিল্পী এবং সাহিত্য সমালোচক ইলয়াস হোসেন জুলি রহমান এর স্নৃতিতে কলমাই কবিতাটি পড়লেন এবং আলোচনাও করলেন।মুক্তিযোদ্ধা মিছির আলী পাঠ করেন পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের কবর কবিতা।তিনি শুধু বাচিকতায় থাকেন নি তিনি কবিতাটির নাট্যরুপ দিয়েছেন।নাট্যজন ব্যক্তিত্ব বাংলার নবাব সিরাজ ঊদ দৌলার মহামূল্যবান ঐতিহাসিক দীর্ঘ রাজনৈতিক বক্তব্য বা ভাসন পুরোটাই মুখস্ত নাটকীয় কায়দায় উপস্থাপন করে উপস্থিত কবিকুল তথা দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন।

স্বর্বশেষ স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সব্যসাচী লেখক কবি সাজুফতা সাহিত্য ক্লাব এর সভাপতি জুলি রহমান তাঁর ইংরেজী কবিতার বই দ্যা ফিউগেটিভ সান কবিতার বই থেকে দ্যা ফিউগেটিভ সান কবিতাটিই পড়েন।তিনি কথা বং কবিতা পড়েন ইমরান আলীর নতুন বই-যে আলো শুধু অন্ধকারে জ্বলে বই থেকে দানবের পৃথিবী কবিতাটি পড়েন এবং আলোচনা করেন।ইমরান আলী টিপুর অবর্তমানেই করেন।যা কিছু ভালোবাার স্নেহের আদরের সন্মানের তাঁর উপস্থিতির প্রয়োজন পড়ে না।অতিথি ছেলেন আফজাল হোসেন,নবী মোহাম্নদ।

কথা বলেন মূলধারার সংগঠক কাজী রবীউজ্জামান ।তিনি একজন ভালো সংগঠক।এ ছাড়া বয়স্কদের নিয়ে রয়েছে তাঁর প্রবীন বয়্ক সংগঠন।তিনি একজন নিঃস্বার্থ কর্মী মাত্র।সমাজের দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর প্রধান এবং নিঃস্বার্থ উদ্দেশ্য।

গান করেন শিল্পী শাকিলা রুনা ও ইকবাল আহমদ বাবলা ও কামরুন নাহার খানম।সন্ধার চা চক্র গড়াতে গড়াতে রাত্রিই চলে এলো।ছিলো কাঁচা আমের ভর্তা ।ছুলা বোট মুড়ি চা কোহিনূর আপার হাতে গড়া সুস্বাদ পানের খিলি।গরুর নিহারী ও গার্লিক নান।পরবর্তী অনুষ্ঠান জুনের ২০ তারিখ।সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন রেজা আব্দুল্লাহ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn