
একমাত্র যুব টেস্টে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তানের যুবারা।
অধিনায়কের সেঞ্চুরিতে ইনিংস ব্যবধান এড়ালেও বড় পরাজয়ের হাত থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শেষ দিনে দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দিয়ে অনায়াস জয় পেয়েছে পাকিস্তানের যুবারা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে একমাত্র যুব টেস্টে ১০ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। বুধবার ম্যাচের শেষ দিন বাংলাদেশের দেওয়া ২২ রানের লক্ষ্য ৬.৩ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় স্রেফ ১৪৯ রানে। জবাবে শাহজাইব খানের ১৭৪ রানের সৌজন্যে ৪২০ রান করে পাকিস্তান। ২৭১ রানের বড় লিডের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ থামে ২৯২ রানে।
শেষ সেশনে ছোট লক্ষ্য সহজেই তাড়া করেছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার আজান আওয়াইস ও শাহজাইব খান। ৪ চারে ১৯ রান করেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান। আজান অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে লড়েছেন শাহরিয়ার সাকিব। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে যুব টেস্টে একাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
১৪ চারে ২৩৫ বলে ১০৬ রান করেন সাকিব। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তান সফরে নিজের প্রথম টেস্টে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যুব টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস সেটি। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৪৮।
দিনের শুরুতে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়াতে ১০৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। ৭ উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা একান্ত শেখের উইকেট হারায় তারা।
পঞ্চম উইকেটে জাকারিয়া ইসলামের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন সাকিব। দলের স্কোর আড়াইশ ছুঁইছুঁই অবস্থায় জাকারিয়া (২৩) বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে জুটি।
জাকারিয়া ফেরার পর আলি আসফান্দের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে চার মেরে সেঞ্চুরি পূরণ করেন সাকিব। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। আসফান্দের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শেষ হয় তার ২৩৫ বলের ইনিংস।
তাতে বাংলাদেশের পরাজয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। স্রেফ ৩০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে বড় হারের সামনে পড়ে যুবারা।
পাকিস্তানের দুই বাঁহাতি স্পিনার আসফান্দ ও আরাফাত মিনহাস মিলে নেন ৭ উইকেট। আসফান্দের শিকার ৪ ব্যাটসম্যান, আরাফাত ধরেন ৩টি।
একই মাঠে আগামী শনিবার তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।