রবিবার - ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের দাফন সম্পন্ন

পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১টায় তাঁর গ্রামের বাড়ি বকশীগঞ্জের নিলাখিয়া ইউনিয়নের গোমের চর ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। তার আগে সকাল ১০টায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানায়া অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজা ও দাফনের সময় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। জানাজায় এলাকার সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত হন।
জানাজায় নাদিমের বাবা আব্দুল করিম বলেন, তাঁর ছেলে নাদিমকে বাবু চেয়ারম্যানের হুকুমে খুন করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নিউজ করার জন্যই তার ছেলেকে জীবন দিতে হয়েছে। ছেলের খুনিদের ফাঁসি চাই।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, জামালপুর জেলা পরিষদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জুম্মান, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আগা সাইম, প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ সোহেল রানা, সাংবাদিক আশরাফুল হায়দার, বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েত উলাহ্, বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহিন আল আমিন, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ্ আল সাফি, মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক লালন প্রমুখ।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার মূলহোতা সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ সকল হামলাকারী আটক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। বকশিগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড় এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে নাদিমকে অজ্ঞান অবস্থায় নির্জন জায়গায় ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। তাঁকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn