
সরকারের নির্দেশনায় গোয়েন্দা সংস্থার গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের বিবৃতি
আজ ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) রবিবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিক দখলদার ইউনূস সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সংঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছে। বিভিন্ন সময় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আজগুবি ও ভুয়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে এমনি একটি ভুয়া তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে আমিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে ভারতের কলকাতার পার্ক হোটেলে আওয়ামী লীগের মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে মর্মে ভুয়া, বানোয়াট ও মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আমরা স্পষ্টভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে এ ধরনের অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জীবন উৎসর্গ করতে সদা প্রস্তুত। কিন্তু তারা কোনো ধরনের সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে বিশ্বাসী। ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের প্রযোজনায় এ ধরনের ভুয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশকে আমরা দুরভিসন্ধিমূলক মনে করছি। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাহীন অবৈধ দখলদার ইউনূস সরকারের নির্দেশনায় ও গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে তার দায়ভার আওয়ামী লীগের উপর চাপানোয় অপচেষ্টা করছে। এ ধরনের ভুয়া প্রতিবেদনে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে শান্তিপ্রিয় দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানাই, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বাংলাদেশকে অশান্তিময় ও অনিরাপদ করে তোলার জনক ফ্যাসিস্ট ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার এবং জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচিতে যোগদান করে তা সফল ও সার্থক করার জন্য।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।