সোমবার - ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৩শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন নাই, বেডে রোগী, বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে স্যালাইন পরীজনদের

সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন নাই, বেডে রোগী, বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে স্যালাইন পরীজনদের

 

আজ ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ী ব্লকে রোগীর পরিবারের লোক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন নাই। রোগী বেডে শুয়ে থাকলেও, বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হচ্ছে পরীজনদের। এই যন্ত্রণার শুরহা কবে হবে প্রশ্ন এখন একটাই।

প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতাল গুলোতে মিলছে না এন এস স্যালাইনের মতো স্যালাইনের সঠিক পরিষেবা, শহর অঞ্চলে প্রভাব না পড়লেও অসহায় অবস্থায় ভুগছে গ্রাম বাংলার মানুষজন,

মূলত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্যালাইন কান্ডের পরে , সমস্ত সরকারি হাসপাতালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসিস্ট কোম্পানির স্যালাইন বন্ধের নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সরকারি হাসপাতাল ও গ্রামীণ হাসপাতাল গুলোতে এই মুহূর্তে মজুত নেই এন এস স্যালাইন। ফলে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করে ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীর পরিজনরা স্যালাইন না মেলায়।

তেমনি আরেক ছবি উঠে এলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রায় ষাট শতাংশ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা কেশিয়াড়ী ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতালে, কেশিয়াড়ী গ্রামীণ হাসপাতালে প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এন এস স্যালাইনের পরিষেবা সরকারি হাসপাতাল দিতে পারেনি। রোগী ভর্তি হলেই বাইরের কোন মেডিকেল থেকে এই স্যালাইন কিনে আনতে হয়। রুগীর পরিবারের লোকেদের কিনে আনার জন্য ডাক্তার বাবুরা নির্দেশিকাও দিয়েছেন। তবে স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনার প্রভাব শহর অঞ্চলে খুব একটা না পড়লেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এর প্রভাব পড়ছে।

কেশিয়াড়ী ব্লকের ৬০ শতাংশ আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা , এই এলাকার মানুষ বেশিরভাগটাই নির্ভর করে থাকেন সরকারি কেশিয়াড়ী গ্রামীণ হাসপাতালে উপর, যেখানে ফ্রিতে পরিসেবা পাবেন বলে মানুষ ছুটে যান সরকারি হাসপাতালে।

কিন্তু যখন হাসপাতালে গিয়ে রোগীর পরিবারকে ছটা সাতটা আটটা করে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে চিকিৎসা করাতে হয় , তখনই ভোগান্তিতে পরিবারের লোকেরা, হাসপাতালের বি এম ও এইচ অর্পণ নায়েক জানান, সরকারের তরফ থেকে এখনো স্যালাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়নি , তাই রোগীর পরিবারদের বাইরের থেকে নিয়ে আসতে বলা হয়। তবে প্রশ্ন একটাই, অর্থের অভাবে যেখানে সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবাটা বিনামূল্যে পাবেন বলে তারা ভরসা করেন, সরকারের গ্রামীণ হাসপাতাল গুলোতে ,সেখানেই যখন তাদের কয়েকশ, কয়েক হাজার টাকা খরচ করে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে আনতে হয়, তখন তাদের সরকারের হাসপাতালে এসে ভুগতে হয়। তবে কবে এর সুরাহা মিলবে, এখন প্রশ্ন সেটাই তুলছে সাধারণ মানুষ, রোগীর পরিবারের লোকেরা দুশ্চিন্তায় দিন গুনছেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn