বৃহস্পতিবার - ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৭ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ক্ষমতার বলে ঝিকরগাছায় প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম

সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলেন মোঃ আনারুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে প্রকৃত তথ্য গোপন করে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ১৩ মে ২০২৩ তারিখে যশোর জেলা স্কুলে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বোর্ডে ৪ জন প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে মোঃ আনারুল ইসলামকে নিয়োগ বোর্ড প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি উক্ত স্কুলে যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে। সদ্য এই নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলামের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রথমে তিনি নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নবারুণ বালিকা বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। তারপর চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর এমপিজেবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত হন। জুনিয়র স্কুল হওয়ার কারণে সেখানে তিনি ৮ম গ্রেডে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী এক প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় অন্য প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হলে চাকরিরত প্রতিষ্ঠান থেকে এনওসি বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নিতে হয়। কিন্তু তিনি সেটা না নিয়েই সরকারি নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে এখন সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন। ইতিমধ্যে সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও কিছু অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা এই নিয়োগ কর্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এলাকাবাসীর মধ্যে গুনজন শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হলে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু আনারুল ইসলাম এখনও পর্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র পেশ করেননি বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে তথ্য অনুসন্ধ্যানে চৌগাছা উপজেলার উজিরপুর এমপিজেবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে সেখানে প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলাম অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায়। হাজিরা খাতাতে ১৫ মে’র পর তার আর স্বাক্ষর নেই। তাৎক্ষনিক প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি উজিরপুর স্কুল থেকে ছুটিতে আছি। ছুটির দরখাস্ত আছে কিনা এর উত্তরে তিনি বলেন সভাপতির নিকট থেকে মৌখিক ভাবে ছুটি নিয়েছি। প্রথমে তিনি অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে বর্তমানে সে ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসার ইউনিয়নের সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। উজিরপুর এমপিজেবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে থেকে এনওসি নিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কিনা এর উত্তরে তিনি বলেন, সভাপতি আমাকে মৌখিক ভাবে সুরতজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবেদন করার এবং যোগদান করার সম্মতি জানিয়েছেন। উজিরপুর এমপিজেবি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সভাপতি গুলনাহার বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক সাহেব নতুন স্কুলে যোগদান করেছেন এরকম কোনো তথ্য আমার জানা নেই। তিনি আমার কাছ থেকে এন ও সি বা অন্য কোনো কাগজ নেননি বা পদত্যাগপত্র জমা দেননি। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাচ্চার অসুস্থতার জন্য তিনি ফোনে দুদিন ছুটি চেয়েছিলেন। এই ১০ দিন অনুপস্থিতির বিষয় জানতে তাকে চিঠি দেওয়া হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn