শুক্রবার - ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৮ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মা

ভয়ভীতি দেখিয়ে ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মা, এমন অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার সন্তানেরা। মায়ের পরকিয়া সম্পর্কে জানতে পারায় ছেলে সাফীনকে (১২) হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে নিজ মায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে গাজীপুর সিটি প্রসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়ে সাবরিনা ছিদ্দিকা মিম ও ছেলে সাফীন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবরিনা ছিদ্দিকা মিম বলেন, আমার মা মোসা.পারভীন ছিদ্দিকা তমা (৩৮) দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন মানুষের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। যার ফলে এসব ঘটনায় কষ্ট পেয়ে আমার বাবা শাকিল ছিদ্দিকী দুইবার স্ট্রোক করেন। বিভিন্ন সময় বাবাকে খুন, জখম ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন মা। চলতি বছরের ২৭ শে জানুয়ারি বাবা মৃত্যুবরণ করেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মায়ের আচরণ আরো পাল্টে যায়। আমি ও আমার ছোট ভাই সাফিনের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। প্রথমে মায়ের সাথে থাকলেও মায়ের অত্যাচারে দেড় মাস যাবত অন্যত্র ভাড়া নিয়ে থাকছি। এতে আমি রক্ষা পেলেও ছোট ভাই সাফীনকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করতে থাকে মা। মূলত আমাকে ও আমার ভাইকে টাকা ও সম্পত্তির অংশ থেকে বঞ্চিত করে সমস্ত কিছু আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এসব অত্যাচার চালিয়ে আসছেন মা।
গত ১৯ জুলাই (বুধবার) সাফীন অত্যাচার সইতে না পেরে গাজীপুরের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমার চাচা মঈনউদ্দিন সোহেলের ভাড়া বাসায় পালিয়ে আসে। সবাই মিলে সাফীনকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালালেও সাফীন ভয়ে মায়ের কাছে ফিরতে চায় না। এসব বিষয়ে আমার মা পারভীন ছিদ্দিকা তমা চাচা মঈন উদ্দিন সোহেলসহ আমাদেরকে অপহরণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, যার ফলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
সাফীন (১২) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সানারপাড় শেখ মোরতোজা আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মায়ের পরকীয়ার বিষয়টি তিনি একাধিকবার তার বাবাকে জানিয়েছিলেন। যে কারণে সাফীনের উপর তার মা আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সাফীনের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়।
সাফীন বলেন, আমার মা রাতে বিভিন্ন মানুষের সাথে ফোনে পরকিয়া করেন। এসব বিষয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলে, মা আমার উপর রেগে যান। আমাকে বলেন, আমি যার সাথে ইচ্ছা তার সাথে পরকীয়া করবো। তুই যার কাছে ইচ্ছা বিচার দে। আমি তোরে খুন কইরা যা কিছু আছে সব নিয়া চইলা যামু। আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি কার কাছে যাবো, মার কাছে গেলে মা আমাকে মেরে ফেলবে। আমি মায়ের কাছে যেতে যেতে চাই না।
তবে এসব বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোসা. পারভীন ছিদ্দিকা তমা বলেন, আমার ছেলে সাফীনকে শিখিয়ে দিয়ে এগুলো করানো হচ্ছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn