
সন্দ্বীপরত্ন ড. সোলায়মানুল মেহেদীর ইন্তেকাল : কাল জানাজা
সন্দ্বীপরত্ন ড. সোলায়মানুল মেহেদী আজ ২ ফেব্রূয়ারী ২০২৪ শুক্রবার মসজিদে জুমার নামাজরত অবস্থায় স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর জন্ম অধুনালুপ্ত ইজ্জতপুর গ্রামে ১৯৪০ সালের ২০ আগস্ট। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারী শনিবার কুমিল্লা কলেজ রোডের নিজ বাসভবনের সামনে জোহরের নামাজের পর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুমিল্লা টমটম ব্রীজ কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।
ড. সেলায়মানুল মেহেদী ১৯৫৫ সালে সন্দ্বীপ হাই স্কুল থেকে পুর্বপাকিস্তানে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৩য় স্থান অর্জন করে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৭ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে কুমিল্লা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম স্থান অর্জন করে আইএসসি পাস করেন। তাঁর পরে সন্দ্বীপের আর কেউ পর পর দুটি পাবলিক পরীক্ষায় এত ভাল ফলাফল করতে পারেননি।
আইএসসি পাস করার পর তিনি তৎকাললীন আহসান উল্যাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বর্তমান বুয়েটের ইলেক্ট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট থেকে রেকর্ড মার্ক পেয়ে পাস করে ওই কলেজেই অধ্যাপনা শুরু করেন। তিনি বুয়েটে ১৯৭২-৭৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ১৯৭৫-৭৭ সালে অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে উচ্চ শিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করে সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে এমএসসি ও পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে এসে পূনরায় বুয়েটে অধ্যাপনা করেন। তিনি ১৯৭৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সৌদি আরবের কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেক্ট্রিকাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর পিতা মৌলভী ফজলুল করিম ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৩৭ সালে চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহনের পর সন্দ্বীপ হাই স্কুলে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেন। তিনি ১৯৬০ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ধীতায় ইজ্জতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
তাঁর সহধর্মিণী কুমিল্লার চিতৈষী’র হোসেন আলী মোক্তারের মেয়ে লুৎফুন্নেছা বেগম। তিনি সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত আকবর হোসেনের ছোট বোন। হোসেন আলী’র পূর্বপুরুষ সন্দ্বীপ থেকে গিয়ে চিতৈষীতে স্থায়ী হন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের পিতা। তাঁর পুত্র যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন, কন্যা গৃহিণী।
তার মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।