সোমবার - ১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ৯ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে আইন প্রয়োগের সাথে সচেতনতা বাড়াতে হবে — চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন,নিরাপদ সড়ক ও পরিচ্ছন্ন নাগরিক জীবন সকল নাগরিকের কাম্য। বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সড়ক ও নাগরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক ও সহজলভ্য করতে। আইন প্রয়োগ করে কখনো সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসন করা সম্ভব নয়। এর পিছনে বড় বাধা হচ্ছে নাগরিক অসচেতনতা ও পরিবহন নৈরাজ্য। কৃত্রিম সংকট, পরিবহন নৈরাজ্য, আইন প্রয়োগে প্রতিবন্ধকতা ও নাগরিক অসচেতনতাসহ নানা অসংগতি সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনের বড় হুমকি। তাই সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে আইন প্রয়োগের সাথে সাথে সচেতনতা বাড়াতে হবে।১৬ এপ্রিল বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যাণ সংস্থা (বিজেকেএস)’র উদ্যোগে নগরীর কোর্ট হিলস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে নাগরিক দায়িত্ব ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জীবনযাত্রায় জীবনের যাত্রাপথে যেমন সড়ক দুর্ঘটনা, মাদক পাচার ও সেবন, ভোক্তা অধিকার বাস্তবায়ন, পরিবেশ উন্নয়নে গণসচেতনতা বৃদ্ধি, বঞ্চিত ও চলমান সার্বিক সাংবিধানিক গণঅধিকার আদায়ে গঠিত সরকারের উন্নয়ন সহযোগী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যাণ সংস্থা (বিজেকেএস)’র উদ্যোগে সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট নিরসনে নাগরিক দায়িত্ব ও করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) রায়হানা আক্তার উর্থী, সিমনী গ্রুপের কর্ণদ্বার ও রাজনীতিবিদ লায়ন আলহাজ্ব মো. ইমরান, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন এসএম মোর্শেদ হোসেন, লায়ন ইঞ্জিনিয়ার জাবেদ আবছার চৌধুরী, আরএম এডুকেশন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান, ঢাকা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আশিকুর রহমান হাশেমী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সীতাকুণ্ডের কৃতীসন্তান বিশিষ্ট শিল্পপতি শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইমরান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোডম্যাপে বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ্ অদূর ভবিষ্যতে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতে যাচ্ছে। উন্নতবিশ্বের আদলে পাতাল রেল বা এমআরটি-ই হতে পারে যানজট নিরসনের উৎকৃষ্ট উপায়। আমাদের প্রতিবেশী ভারতও সে পথে পা বাড়িয়েছে। সময় লাগবে। মিলিয়ন ট্রিলিয়ন মহামূল্যবান কর্মঘন্টা বাঁচানোর জন্য সময় নিয়ে হলেও এ দূরদর্শী চিন্তায় এমআরটি’র দিকে আমাদের যেতে হবে। ডিজিটাল দেশে হাতের ইশারায় ট্রাফিক কন্ট্রোল বেমানান। ঠাণ্ডা মাথায় মায়ের মমতায় সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে দিতে পারেন নারী গাড়িচালক।

বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যাণ সংস্থা (বিজেকেএস) এর চেয়ারম্যান আ স ম আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন, মোহাম্মদ আইয়ুব, প্রকৌশলী মো. এমরান, মো. আলী সিকদার, একেএম মমতাজ তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. মাঈনুল ইসলাম, মো. মাসুদ রানা, মো. এয়াকুব, লায়ন ইসমাইল চৌধুরী, এমডিএইচ রাজু, স. ম. জিয়াউর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মঈনুদ্দিন, মো. শাহ আলম সিরাজী, ফারহান সিদ্দিক, আরেফীন রিয়াদ, মো. কেফায়েত উল্লাহ আরকান, লায়ন মো. জানে আলম, মো. হাসান মুরাদ, আলহাজ্ব মো. মুছা প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন সরকার কখনো একা সড়কের নিরাপত্তা ও যানজট সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। যতক্ষণ না নাগরিক সচেতন না হয় এবং পরিবহন সেক্টর শৃঙ্খল না হয়। পরিবহন খাত নৈরাজ্য বন্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসলে সড়কের যানজট অনেকটা কমে আসবে। বক্তারা আরো বলেন, ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক সড়কে আসায় সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট বেড়েই চলেছে। যতবেশি ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক সড়কে কমানো যাবে না ততক্ষণ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। অদক্ষ চালক পরিহার ও ফিসনেসবিহীন গাড়ি বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn