সোমবার - ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

সংসদের ২৪তম বৈঠক ৩ সেপ্টেম্বর

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম বৈঠক শুরু হচ্ছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার। ঐ দিন বিকাল ৫টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংসদের এই অধিবেশন ডেকেছেন। এটিই হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। তবে সেপ্টেম্বরে এই অধিবেশনটি শেষ করে অক্টোবরে আরেকটি অধিবেশন ডাকারও সুযোগ রয়েছে সংবিধান অনুযায়ী।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিল কিংবা কার্যক্রম না থাকলে ২৪তম অধিবেশনটি মাঝে মধ্যে মুলতুবি দিয়ে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চালানো হতে পারে। এরপর বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথম দিন থেকে শুরু হয়ে যাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন গণনা।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে; এবং মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।’
চলতি একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সেই হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ বহাল রেখে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে এর পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যে কারণে, এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে সেই ৯০ দিন গণনা শুরু হবে।
২৭ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ‘কবে তপসিল ঘোষণা করতে হবে, সেটা আইনে উল্লেখ নেই। সেটা ৫০, ৬০ বা ৭০ দিন আগেও হতে পারে।’ অবশ্য সংসদের মেয়াদপূর্তির ৯০ দিনের আগে তপসিল ঘোষণা করা যাবে কি না, তা আইনে স্পষ্ট করে উল্লেখ নেই। যদিও নির্বাচন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, তপসিল ঘোষণা, মানে নির্বাচন শুরু হওয়া। সংসদের মেয়াদপূর্তির পূর্ববর্তী ৯০ দিনের আগে তপসিল ঘোষণার সুযোগ নেই, অর্থাৎ নভেম্বরের আগে তপসিল ঘোষণা করা যাবে না।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn