![](https://dainikanandabarta.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (১৩ আগস্ট) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
আবদুল্লাহ-আল-মামুন জানান, গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করা হয়।
চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
পরে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রুলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
২৫ জুলাই চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ঠিক করা হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেন আপিল বিভাগ।
সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৮ আগস্ট রায় দেওয়া হয়। রায়ে গত ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।