
শ্রমিক সংকটে বিপদে কৃষক, বন্যার শন্কা বাড়াচ্ছে উদ্বেগ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় পাটলী ইউনিয়নে বন্যার আশন্কা মাথায় নিয়ে চলছে ধান কাটার কাজ। ব্যস্ত হাতে মাঠের ফসল ঘরে তোলায় কাজ করে যাচ্ছেন স্থানীয় বোরো চাষীরা। শ্রমিক সংকটের কারনে ব্যাহত হতে কার্যক্রম। ধান কাটা মৌসুমের শুরুতেই এবার বন্যার পূর্বাবাস দেওয়া হয়েছিল। যার কারনে দ্রুত মাঠের কাজ শেষ করতে শ্রমিকের খোজ শুরু করেন কৃষকেরা। তবে শ্রমিক সংকটের কারনে ব্যাহত হতে হচ্ছে ধান কাটা। হাওরে জমির ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটতে পারছেনা কৃষকরা। আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার সরেজমিনে পাটলী ইউনিয়নের কয়েকটি ছোট বড় হাওরে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিক সংকটের কারনে জমির মালিকগন আবার কোন জমিতে ৩/৪ জনে ধান কাটছে। হাওরের চতুর্দিকে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত। জমিতে ধান পেকে গিয়ে ঝরে পড়ার উপক্রম হয়েছে। স্থানীয় একাধিক কৃষক বলেন, এলাকায় যুকরা বেকার ঘুরছে টাকা দিয়েও ধান কাটতে চায়না। ধান কাটার মেশিনও মিলছেনা। অন্যদিকে শিলাবৃষ্টির ভয়ে রাতে ঘুম আসেনা। একা কিছু করতেও পারবো না। মেশিনও পাচ্ছি না মেশিন আর মানুষ না পাওয়ায় নিজের ধান নিজেই কাটতে শুরু করেছি।
পাটলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আঙ্গুর মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে থেকেই আমার ইউনিয়নের বিলচর, দলুয়া, আদাকান্দিসহ ছোট বড় বেশ কয়েকটি হাওরের ধান পেকে গেছে। প্রতিনিয়ত কৃষকেরা আমাকে বলেন, শ্রমিক ও হারভেস্টার মেশিন না থাকায় ধান কাটতে পারছেনা। একটি হাওরে ছোট একটি মেশিন থাকলেও সেটি বারবার নষ্ট হয়ে যায়। জমির মালিকরা নিজেই ধান কাটছেন। প্রায় দুই ভাগের উপরে ধান কাটা হয়েছে। হাওরে কৃষকদের অবস্থা দেখে উপজেলা প্রশাসনকে হারভেস্টার মেশিন দেয়ার জন্য বলেছি। আশাকরি একটা ব্যবস্থা হবে। জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওসার আহমদ বলেন, উপজেলার বৃহত্তম নলুয়ার হাওর এই হাওরকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ধান কাটার ব্যবস্থা নিয়েছি। পাটলী ইউনিয়নের ঘাটিয়া হাওরে একটি মেশিন ধান কাটছে। শনিবারে আরেকটি মেশিন নামবে।