মঙ্গলবার - ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

শ্যামনগর সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় খটিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে চিংড়ি মাছ

শ্যামনগর সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় খটিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে চিংড়ি মাছ

শ্যামনগর সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় খটিতে কাঠ পুড়িয়ে শুকানো হচ্ছে কাচা চিংড়িমাছ। ক্ষতি করা হচ্ছে পরিবেশের, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলে, বছরের বিভিন্ন সময়ে দূর্যোগে উপকূলে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। সরকারি বে-সরকারি সংস্থাগুলো জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচি করে থাকলে ও সচেতন হচ্ছে না বেশ কিছু অসাধু চিংড়ি শুটকি ব্যবসায়ী।
এবিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে নেই কোন আইনগত ব্যবস্থা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকূলীয় জনবসতি এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে চিংড়িমাছ শুকানোর খটি।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সুন্দরবন থেকে ১০কিলোমিটার এর মধ্যে কোন প্রকার মাছ শুকানোর খটি তৈরি করা সরকারিভাবে নিষেধ থাকলে ও সরকারি আইনকে বিদ্ধা আঙুল দেখিয়ে গড়ে উঠা এ মাছ শুকানো খটি মালিকদের উপর নেই কোনো প্রকার আইনে বাধা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে নীরব।
স্থানীয়রা বলেন এ সমস্ত খটি গুলোতে পোড়ানো হয় সুন্দরবন ও লোকালয়ের বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে গোপাল মোড়, আটুলিয়া ইউনিয়নের মাইন্দ্র মাছের আড়ত সংলগ্ন অর্পণ শুকনা চিংড়ি ফিস যাহার প্রোপাইটার অসিম কুমার এছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে, কাঠ দ্বারা শুকানো চিংড়ী মাছের খটি। মাইন্দ্র এলাকার এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন খটিতে কাঠ পুড়ানোর কারণে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, তাছাড়া লোকালয়ের মধ্যে কাঠ দিয়ে কাঁচা মাছ শুকানোর কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। রবিবার (৪ মে) তারিখ সকালে সরেজমিনে যেয়েদেখা যায় বিভিন্ন প্রকার কাঠ পুড়ানো হচ্ছে এসমস্ত মাছ শুকনা খটিতে। কাঠ পুড়িয়ে মাছ শুকানো হচ্ছে এ বিষয়ে খটি মালিকদের কাছে জানতে চাইলে খটি মালিকগণ বলেন, কাঠ দিয়ে জ্বালানো ছাড়া আমাদের কোনোভাবেই এ মাছ শুকানো সম্ভব হয়না বিধায় কাঠ আমাদের পোড়াতেই হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোনোভাবে মাসোয়ারা দেওয়া হয় কিনা জানতে চাইলে, খটি মালিক গণ বলেন কিছু, কিছু প্রতিষ্টানকে একটু আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে থাকি আমরা।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ মশিউর রহমান বলেন সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে আমি ব্যবস্থা নিব। এবং পরিবেশের ক্ষতি করে এমন কোন মাছের খটি চালাতে দেওয়া যাবে না।
শ্যামনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কাঠ দিয়ে শুকানো হচ্ছে চিংড়ি মাছ এবিষয়টি আমরা আগেও এ খবর পেয়েছি তবে খুব দ্রুত এ খটিতে অভিযান চালানো হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn