মঙ্গলবার - ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

শেখ হাসিনা সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পরিবেশ ধ্বংসকারীদের কোনো স্থান নেই

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় বিভাগীয় কমিশনার
শেখ হাসিনা সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশে
স্মার্ট পরিবেশ ধ্বংসকারীদের কোনো স্থান নেই

বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার পথ ধরে সমৃদ্ধির পথে। আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহের কাছে অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে আজ পিছিয়ে পড়া ও দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত। এখন বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগোচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ’৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশে পরিবেশ সুরক্ষার বিকল্প নেই। তাই শেখ হাসিনা সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পরিবেশ ধ্বংসকারীদের কোনো স্থান নেই। বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
জাতীয় গণমাধ্যম দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা, দৈনিক যায়যায়কাল ও দৈনিক আনন্দ বার্তা’র আয়োজনে গতকাল ৬ জুন, বিকাল ৪টায়, বিভাগীয় কমিশনার সম্মেলন কক্ষে “চট্টগ্রামের পরিবেশ সুরক্ষায় : পাহাড় কাটা, নদী ভরাট, নদী দখল, পলিথিনের অবাধ ব্যবহার ও কৃষিজমি নিধন রোধে আইনের প্রয়োগ ও নাগরিক সচেতনতা” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফেরদৌস আনোয়ার, পটিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আইয়ুব বাবুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুর হোসাইন, দৈনিক পূর্বদেশ’র সহসম্পাদক ও পরিবেশবাদী সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম খান, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য রওশন আরা বেগম রতœা।
বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ, পরিবেশ সংগঠক ও ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক এম এ সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ সাংবাদিক-সংগঠক ও দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার বিশেষ প্রতিনিধি স ম জিয়াউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক যায়যায়কাল’র সহসম্পাদক মো. সেলিম উদ্দিন। দৈনিক আনন্দবার্তার বার্তা সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ও আবৃত্তিশিল্পী সাবরিনা আফরোজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাবন্ধু যাত্রী কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান আ স ম আক্তার হোসেন, এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. হাসান মুরাদ, জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মো. লোকমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ আকবরশাহ থানা শাখার সভাপতি রবিউল ইসলাম জাহাঙ্গীর, বিশিষ্ট সমাজসেবী আলহাজ মো. ওসমান গণি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সংগঠক টুম্পা দাশ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এমরান, রাজিয়া সুলতানা, জয়নাব বিবি, ইয়াকুব খান, মো. সিরাজুল হক, মো. আবদুল মন্নান রানা, মোহাম্মদ হোসেন মধু, মো. আবু বকর ছিদ্দিক, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক জিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পরিবেশবান্ধব ব্যক্তিত্ব, তাঁরই সুযোগ্যকন্যা শেখ হাসিনাও পিতার মতো পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ সুরক্ষায় পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা নিয়ে যে সকল জনপ্রতিনিধি ও ব্যক্তিরা পরিবেশ ধ্বংসে লিপ্ত হবে এবং পাহাড়খেকো নদী-দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত হবেন, তাদের আইনের ফাঁকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সভায় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের নান্দনিক পরিবেশ বিনষ্ট করে যারা পরিবেশ ধ্বংসযজ্ঞে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং পরিবেশ ধ্বংসকারীদের হাত থেকে চট্টগ্রামের পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn