
শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল। ২০২২–২৩ অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এম খালিদ মাহমুদ চৌধুরী তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং এর দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে এ পুরস্কার দেয় মন্ত্রণালয়। আজকের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এম সোহায়েল এলিট ফোর্স র্যাবের সদর দপ্তরে আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় অসামান্য কর্মদক্ষতার জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হন। তিনি কাউন্টার টেররিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ডিজিএফআই সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীন বিষয়ক ব্যুরো এবং নৌ সদর দপ্তরের পরিচালক সাবমেরিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২ মে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন। পায়রা বন্দরের চ্যানেল ড্রেজিংসহ বন্দরের উন্নয়নে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল নৌবাহিনীর একজন পেশাদার কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন স্তরে স্টাফ এবং নির্দেশনামূলক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেবায় অসামান্য পারফরম্যান্সের জন্য তিনি নৌবাহিনী থেকে ওএসপি এবং এনইউপি পদক লাভ করেন।
তিনি তাঁর গৌরবময় কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তরে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্বাহী শাখায় ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি কমিশন লাভ করেন। পরে তিনি দেশে–বিদেশে বিভিন্ন কোর্সে অংশ নেন। একজন অ্যান্টি সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার স্পেশালিস্ট অফিসার হিসেবে তিনি নৌবাহিনীতে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। তিনি কানাডা থেকে ওয়ার গেম সিমুলেশন কোর্স, ঢাকায় ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্স এবং ভারতের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ থেকে নেভাল স্টাফ কোর্সে অংশ নেন।