শনিবার - ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ - ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১২ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শাহ্সূফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন

দ্যা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ সূফি স্কলারস অফ গ্রেটবিটেনের আয়োজনে ১৮ মে ২০ মে পর্যন্ত তিন দিনব্যাপি ১০ম ইন্টারন্যাশনাল সূফিজম কনফারেন্স মরক্কোর ঐতিহাসিক শহর গুয়েলমেমি ইউনিভারসিটি অফ মুহাম্মদ আল আউয়ালে অনুষ্ঠিত হয়। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও লিভারেল ইসলামিক জোটের সম্মানিত চেয়ারম্যান মাইজভা-ার দরবার শরীফ এর ইমাম শাহ্সূফি শাহ্জাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।
সম্মেলনের আলোচনায় মূল বিষয় ছিল আধুনিক সমাজ নির্মাণে সূফি তরিকার প্রভাব এবং নিজ দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে সূফিদের করনীয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাইজভা-ারী বলেন দেশেন টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবঅধিকা, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ইসলামিক মূল নির্যাস সূফিবাদ মানুষের আত্মউন্নয়নে প্রেম ভালোবাসা ও সহবস্থানের মাধ্যমে সৃষ্টির কল্যাণ নিশ্চিত করে। পরমত সহষ্ণিু , জোরজবরদস্তি না করা, নির্লোভ , নিরঅহংকার, সাদাসিদে, জীবনযাপনই একজন সূফির বৈশিষ্ট্য। যদি কোনো মানুষেকে লোভ, হিংসা, অহংকার, কামনা বাসনায় আকৃষ্ট করতে না পারে। তাহলে সমাজ ও দেশে অকল্যাণের বৈষম্য ও অশুভ প্রতিযোগিতা না থাকলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সুশাসন, মানবঅধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে। আর একমাত্র সূফিবাদই তা নিশ্চিত করতে পারে। এই সময় তিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাশাপাশি মরক্কোর স্বাধীনতা অগ্রনায়ক, শায়খ মা আল আইনিনের মহৎ বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এ সম্মেলনে শাহ্জাদা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী রচিত দ্যা এসেন্স অফ তাসাউফ গ্রন্থ ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা এবং বিশ্বব্যাপি শান্তির পক্ষে কাজ করায় যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অফ সূফি স্কলারস তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করে। সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদানের পর একাডেমির শীর্ষ স্কলারস  গবেষকগণের তাকে অভিনন্দন জানান। তাঁর রচিত গ্রন্থে তিনি কাদরিয়া মাইজভা-ারীয়া তরিকার মানব কল্যাণের দর্শন, একজন মানুষের  মহামহিম সর্বশক্তিমান আল্লাহর পথে যাত্রা, আধ্যাত্বিক পথের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানাদিক ও তাসাউফ এর ঐশ্বর্য অর্জনের জন্য একজন প্রকৃত সূফি শায়খের সান্নিধ্যে গমনের গুরুত্ব অত্যন্ত সফলতার সাথে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। সম্মেলনে হুজুর কেবলার সফর সঙ্গী ছিলেন মইনীয়া যুব ফোরামের নির্বাহি সভাপতি শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন মাইজভাণ্ডারী। আগামী ২৭ মে বিকাল ৫ টায় তিনি দশ দিনের সফর শেষ করে দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn