রাজশাহীর তানোরের সাজিদুল নামের এক কলেজ ছাত্র তার সাবেক শ্বাশুড়িকে নিয়ে পালিয়েছে। সাজিদুল রাজশাহীর পলেটেকনিকের ছাত্র। বাড়ি রাজশাহীর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের বারোঘরিয়া মুন্নাপাড়া গ্রামে। সাজিদুল পরমেজ আলীর ছেলে।
এদিকে সাবেক শ্বাশুড়িকে নিয়ে মেয়ের জামাইয়েরে পালিয়ে যাবার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত সাজিদুলের শাস্তির দাবিও উঠেছে।
অন্যদিকে শ্বাশুড়িকে পালিয়ে যাওয়া কলেজ ছাত্র সাজিদুল সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তিনি উল্টো দাবি করেছেন, তিনি বিগত ২০২২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ামতপুর উপজেলায় বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে তার স্ত্রী ও প্রবাসী শ্বশুর প্রচারণা চালায় যে তার সঙ্গে শ্বাশুড়ির পরকীয়া রয়েছে। একপর্যায়ে তিনি তার বিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য হন। মেয়েকে তালাক দেওয়ার পর তার প্রবাসী সাবেক শ্বশুর ফেসবুকে তাকে ও শ্বাশুড়িকে নিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালায়। এরপর তার সাবেক শ্বশুর-স্ত্রীকে (সাবেক শ্বাশুড়ি) তালাক দেন। এসব ঘটনায় তাদের উভয়ের মধ্যে মারাত্মক জেদের সৃষ্টি হয়। এজন্য তিনি সাবেক শ্বাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী বিয়ে করে রাজশাহীতে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন।
শ্বাশুড়িকে কি বিয়ে করা যায়? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি, তাহলে তো সম্পর্ক থাকল না। বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়? সে এখন আমার শ্বাশুড়ি না আমার স্ত্রী।
কবে কোথায় বিয়ে করেছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, গত ১০ আগস্ট কাজি অফিসে বিয়ে করেছেন। রাজশাহীতে আছেন। উল্লেখ্য, সাজিদুলেল সাবেক শ্বাশুড়ি দুই সন্তানের মা। তার প্রথম সন্তানকে সাজিদুল আগে বিয়ে করেছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের বারোঘরিয়া মুন্নাপাড়া গ্রামের পরমেজের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাজিদুল বিগত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়ামতপুর উপজেলায় প্রবাসীর মেয়েকে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর থেকে সাজিদুল তার শ্বাশুড়ির সঙ্গে পরকীয়া শুরু করেন এবং একান্তে জামাই শ্বাশুড়ি দেখে ফেলেন মেয়ে। যার কারণে মেয়ে তালাক দেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে। এছাড়া মেয়ে তার প্রবাাসী পিতাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি জামাই শ্বাশুড়ির সম্পর্ক শুনে তিনিও স্ত্রীকে তালাক দেন।
সজিদুল আরও দাবি করেন, তাদের নিয়ে প্রচুর বদনাম ছড়ানোর কারণে তারা বিয়ে করেছেন।
চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ বলেন, মুন্না বংশে বিয়ে করেছি। শ্যালকের অভাব নেই। ঘটনা জানতাম না, আপনারা বলার পরে শুনলাম।
তানোর থানার ওসি আব্দুর রহিম বলেন, এই ঘটনা এখনো পুলিশের অজানা। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।