
শহীদ সেলিনা পারভীন : স্মরণ
কাগজে কলমে সংবাদে আপোষ না করার অটল এক শক্তির নাম।জন্ম ৩১ মার্চ ১৯৩১।
ফেনীতে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়ই তিনি সাহিত্যের অনুরাগী হয়ে গল্প ও কবিতা লেখা শুরু করেন। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়ালেখার সাময়িক ইতি ঘটলেও বিয়ের ১০ বছর পর শুরু করেন পড়াশোনা।
তিনি ‘ললনা’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন বিজ্ঞাপন বিভাগে। পরিচিতি বাড়তে থাকে মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সারসহ বুদ্ধিজীবীদের সাথে।
১৯৬৯ সালে বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বের করেন ‘শিলালিপি’ নামের স্বাধীনতার পক্ষের একটি পত্রিকা। তিনি নিজেই এর সম্পাদনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি ঢাকার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিতেন। ‘শিলালিপি’র একটি বিতর্কিত সংখ্যা থেকেই আল-বদরদের তালিকায় তার নাম উঠে আসে।
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তাকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর অন্য বুদ্ধিজীবীদের সাথে তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিবাহিনী।
রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে চোখবাঁধা অবস্থায় পড়েছিল তার মরদেহ। শীতকাতুরে শহীদ সেলিনা পারভীনের পায়ে তখনো ছিল শীতের মোজা।
শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন বেঁচে থাকবেন আমাদের মাঝে, স্বাধীনতার সূর্য যতদিন আছে।
তথ্যসূত্রঃ ‘অবসর’
৩১ মার্চ ২০১৪