
লালমাইয়ের মেয়ে রুবির প্রতারণায় নিঃস্ব হয়েছেে একাধিক পুরুষ
কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার মগের কলমিয়া গ্রামের তালেব মিয়ার মেয়ে রুবি আক্তারের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক পুরুষ থেকে মোটা অংকের টাকা ও জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মগের কলমিয়া গ্রামের তালেব মিয়ার মেয়ে রুবি আক্তারের সাথে চান্দিনা উপজেলার মহারল গ্রামের মোঃ জহির এর সাথে প্রথমে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়, কিন্তু এই সংসারে থাকা কালীন সময়ে তারই বাতিজার সাথে পরক্রীয়া করে চাচাকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন পোলোভন দেখিয়ে তারই প্রভাসী বাতিজা সোহাগ হোসেন কে বিয়ে করে, কিন্ত বিয়ের পর সোহাগ বিদেশ চলে যায় এর সুযোগে রুবি গোপনে সোহাগ না জানিয়ে আরো অনেক ছেলে সাথে আবার ও পরক্রীয়ায় জড়িয়ে পড়ে, এ বিষয়ে সোহাগকে কোন কিছু বুঝতে দেয়নি রুবি, এদিকে সোহাগের সাথেও সে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা নিতো রুবি এবং তাকে টাকা দিতে বাধ্য করতো, এক পর্যায়ে ১৩/০৩ /২৪ ইং তারিখে সে যখন দেশে আসার সিদ্ধান্ত নেয় তখন রুবি আক্তার একটি প্রোবক্স মাইক্রো নিয়ে তার (রুবির) পরক্রীয়া প্রমিক গাড়ী ড্রাইভার সহ আরো দুজন মিলে ইয়ারপোটে তাকে রিসিভ করেত যায়, ইয়ারপোট থেকে নিয়ে আসার সময় গাড়ির মধ্যে তাকে বিভিন্ন পোলোভন দেখিয়ে চান্দিনা তার বাড়িতে না নিয়ে লালমাই উপজেলার দত্তপুর এলাকায় আসলে তাকে পানি আনার জন্য গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়, এর পরই রুবি কৌশলে ড্রাইভারের সহযোগিতায় তার বিদেশ থেকে আনা তিন ভরি স্বর্ণ নগদ ১,৫০,০০০ / টাকা ওতার ভিসা পাসপোর্টসহ প্রায় ৭,০০,০০০/ টাকা মালামাল নিয়ে পালিয় যায়, তখন প্রবাস ফেরত সোহাগ কোন কুল কিনারা না পেয়ে তখন লালমাই থানায় একটি অভিযোগ করে পুলিশের সহযোগিতায় দত্তপুর এলাকা থেকে রুবির ভাড়া বাসা থেকে সোহাগের ভিসা পাসপোর্ট ও সামন্যকিছু মালা মাল ফেরত পায়, বাকী মালামাল টাকা ও স্বর্ণ অলংকার পরে ফেরত দিবে বলে আশ্বাস দিলে সোহাগ তার নিজ বাড়ী চান্দিনা চলে যায়, তদন্ত সূত্রে জানা যেই বাড়ি থেকে মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে রুবি তার পরক্রীয়া প্রমিক নিয়ে সেই বাসা থাকতেন, ততকালীন সময়ে তার পরক্রীয়া প্রেমিকদের সহায়তায় রুবি তার বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে উপজেলা প্রশাসন মেনেছ করে রুবি কে দিয়ে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানা যায়, পরক্ষণে সোহাগ তার টাকাও জিনিস উদ্বারের জন্য অনেক বার চেষ্টা করলেও তার বাকী মালামাল ও টাকা গুলি রুবি ফেরত দেয়নি, তখন সে আবার বিদেশে চলে যায, কিন্তু এর পরেও রুবি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং তার পরিবারকে হয়রানী করে আসছে, সে এখনো বিভিন্ন সময়ে সোহগের মাকে ফোন দিয়ে গালা গালি করে থাকে এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে যায়, তাই ছেলের বিদেশ আনা মাল গুলো ফেরত পাওয়ার জন্য সোহাগের মা শিরিন বেগম বাদী হয়ে গত ১৬-২-২০২৫ তারিখে লালমই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, ভোক্তভোগী সোহাগ বলেন, রুবি প্রথমে আমার চাচর সাথে প্রতারনা করেছে পরে সে আমাকে সরল পেয়ে বিভিন্ন প্রোলোভনে পেলে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে, আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমি পরে জানতে পারি যে এটা তার ব্যবসা, সে তার রুপের পান্দে ফেলে অনেক ছেলের জীবন নষ্ট করেছে, এবং তার পুরা পরিবার এর সাথে জড়িত,তাই তাকে আইনের আওতায় এনে তার সঠিক বিচার করা হোক, যাতে তার অপকর্মের কারনে আর কোন ছেলের জীবন নষ্ট না হয়।