রবিবার - ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

লাম্বুর হাটে বালু খেকোদের অপতৎপরতায় কোটি কোটি টাকার সড়ক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে

চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজানের কর্ণফুলী নদীর পাড় ঘেঁষা বাগোয়ান ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি স্থানে সরকারি সড়ক দখল করে চলছে রমরমা বালুর ব্যবসা। সড়ক বন্ধ করে ট্রাক দাঁড় করিয়ে চলছে লোডিং-আনলোডিং। এসব বালু খেখোদের অপতৎপরতায় কোটি কোটি টাকার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা।উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নে কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খেলারঘাট এলাকার বালু উত্তোলনকারী বাবুল, স্লুইচ গেইট এলাকার উজ্জ্বল দেবনাথ, স্লুইচ গেট এলাকার খালেক মেম্বার, খেলারঘাটে পলাশ, লাম্বুর হাটে আরিফসহ একাধিক ব্যক্তিদ্বারা গঠিত একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে একদিকে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যোগাযোগ ব্যবস্থার সড়কগুলো ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা, ঘটছে প্রাণহানিও। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুর হাট, খেলারঘাট, পাঁচখাইন, সৈয়দপাড়া ও উভলংসহ বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। বালু মিশ্রিত পানির নিচে পড়েছে সড়ক। অবৈধভাবে উত্তোলন করা হাজার হাজার ঘনফুট বালু ট্রাক, চাঁদের গাড়িসহ বিভিন্ন পরিবহনযোগে রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি জানান, আমরা সড়ক পথে হাঁটতে পারছিনা। বালুর স্তুপের পাশে সড়কের উপর বালু মিশ্রিত পানির উপর দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। গ্রিসচন্দ্র বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, প্রতিদিন শত শত ট্রাক ও চাঁদের গাড়ির দৌঁড়াত্যের কারণে সড়কের ক্ষতির পাশাপাশি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। বাগোয়ান ইউনিয়নে যাতায়তকালী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক থেকে বাগোয়ান যাওয়ার যে অভ্যন্তরিণ সড়কগুলো রয়েছে প্রতিটি সড়কে বালু থাকে। কোথাও কোথাও বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও পরিবহন থেকে পড়ে রাস্তা ডাকা পড়ছে। বালুর জন্য গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব, একারণে দুর্ঘটনা ঘটে হতাহত হচ্ছেন চালকসহ যাত্রীরা। বালু উত্তোলনকারী বাবুল বলেন, ‘বোয়ালখালী উপজেলার রাজামিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে নাজিরার চর থেকে কিনে আমরা বিক্রি করি। আমাদের ৮-১০ জন মিলে এ ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছি।’ রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুস সামাদ শিকদার বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু উত্তোলনকারীদের কারণে সড়কের নষ্ট হওয়ার বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn