শনিবার - ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জায়গা নির্ধারণ কিন্তু ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ না আসায় শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির বেহাল দশা

রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জায়গা নির্ধারণ কিন্তু ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ না আসায় শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির বেহাল দশা

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির ভবনটির বেহাল দশা । যে কোনো সময় ছাদের পলেস্তার ধসে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । শতবর্ষের আগে নির্মিত হলেও বর্তমানে দীর্ঘ বছর ধরে জরাজীর্ণ পুলিশ ফাঁড়ির ভবনটি জীবনের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ১১ জন পুলিশ সদস্য । তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার আমলে উপজেলার চরনূর আহাম্মদ মৌজায় নির্মিত ফাঁড়ির এ ভবনটি সংস্কারে রেলমন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ না থাকায় যতদিন যাচ্ছে এর অবশ্য দিন দিন আরো ঝুঁকি পূর্ণ হচ্ছে । সংশ্লিষ্টদের আশংকা , যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে প্রাণহানি । জানা যায় , বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে ১১ পুলিশ সদস্য কর্মরত । এই ১১ জন পুলিশ সদস্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুব কষ্টে কাজ কর্ম করছে ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে । সকল পুলিশ সদস্যদের থাকার সু-ব্যবস্থা না থাকায় তারা পরিত্যক্ত ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে বিশ্রামাগারে রাত্রি যাপন করেন । নেই কোনো তাদের টয়লেট । পুলিশ ফাঁড়িতে বা স্টেশনে কোনো টিউবওয়েল না থাকায় সকল পুলিশ সদস্যরা খাবার পানি চাহিদা পূরণ করার জন্য আশপাশের বস্তি এলাকা থেকে । গোসল করতে হয় পার্শবর্তী রেলের বড় দিঘির মধ্যে । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , পুলিশ ফাঁড়ির ভবনের পেছনে অনেক নোংরা পরিবেশ এবং মশার উপদ্রুপ । বর্ষা কালে বৃষ্টি হলে কোমর পানি জমে থাকে এবং চলাচল করা যায় না এবং দুর্গন্ধে পুলিশ সদস্যরা ফাঁড়িতে কাজ কর্ম করতে পারে না । রেলের জায়গায় দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ সব দুর্গন্ধে পাশাপাশি মশা- মাছি উপদ্রুব বৃদ্ধি পাচ্ছে । বিভিন্ন রোগ জীবাণু জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং এসব দুষিত মশা কামড়ে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব । যা ওই সংশ্লিষ্ট এলাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরুপ হয়ে পড়ছে । ২০০৫ সালে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন আধুনিকায়ন রি-মডেলিং স্টেশন এর কাজ হলেও অজ্ঞাত কারণে এই পুলিশ ফাঁড়ির সংস্কার বা পূর্ণ নির্মান হয় নি । এ ব্যাপারে নবাগত শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী এ প্রতিনিধিকে বলেন , পুলিশ ফাঁড়িতে এসে দেখি , এই ফাঁড়িতে দায়িত্ব আসার পর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে কাজ কর্ম করছি । আমরা রেলের ও যাএীদের নিরাপত্তা নিয়োজিত আছি । অথচ আমাদের কোনো নিরাপত্তা নাই । তিনি আরো বলেন , এই রেল পুলিশ ফাঁড়িতে আমরা ১১ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত আছি । এখানে বিশ্রামগার বা থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সকল পুলিশ সদস্যদের পরিবার সদস্য নিয়ে আসার সম্ভব নয় এবং বসবাস করার কোনো ব্যবস্থা নাই । ভালো কোনো টয়লেট না থাকায় রেলওয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে হচ্ছে । ওযু- গোসল ও বিশুদ্ধ খাবার পানি ব্যবস্থা না থাকায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে বস্তি এলাকায় থেকে টিউবওয়েল হতে পানি আনতে হয় । জব্দ কৃত মালামাল বা বিভিন্ন অপরাধী আসামী রাখার ভালো ব্যবস্থা নেই কিন্তু ঝুঁকি পূর্ণ ভবনে খুব কষ্টে রয়েছি । নতুন পুলিশ ফাঁড়ি ভরনের জন্য রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জায়গা নির্ধারণ করা হলেও এখনো রেল পুলিশ ফাঁড়ির ভবন নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ আসে নি । এ ব্যাপারে মাননীয় রেল মন্ত্রী ও রেল উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এই পুলিশ ফাঁড়ি ভবন নির্মাণ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত শায়েস্তাগঞ্জসহ হবিগঞ্জ জেলা বাসী দাবি ।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn