বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক ডিজি ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদারের আত্মীয় পরিচয়ে রেলওয়েতে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রমোশন ও বদলীসহ রেলওয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে ইট-পাথর সরবরাহসহ রেলওয়ের বিভিন্ন ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার হাসিল কান্দি ইউনিয়নের ভোজগোবিন্দ সাহার পুত্র তরুণ কুমার সাহা।জাতীয় পরিচয়পত্রে পেশা ব্যবসায়ী উল্লেখ থাকলেও মূলত সে একজন প্রতারক হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত। তার প্রতারনার শিকার কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের ক্যারেজসপের বড় বাবু ও একই সপের মহিউদ্দীনের প্রমোশনের কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। ঢাকা রেল ভবনের এমএলএসএস মোজাম্মেলের কাছ থেকেও প্রমোশনের কথা বলে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক তরুণ। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গার এআই ডাব্লিউদের থেকে আইডাব্লিউ প্রমোশন করার কথা বলে এবং এইএন ও ডিইএনদের বদলী ও প্রমোশনের কথা বলে বিভিন্ন জনের কাজ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ প্রতারক রেলওয়ের একজন উচ্চপদস্থ কমকর্তা পার্থ সরকার এ ডিজি আর এস হলে আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিবে বলে রেলওয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাজ থেকেও লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিআরবি’র অনেক উদ্ধর্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে রয়েছে তার দহরম-মহরম সম্পর্ক। এ সুবাধে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ জন ইলেকট্রিক ফোরম্যানকে প্রমোশন পাইয়ে দিবে বলেও তার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এ প্রতারক। পাশাপাশি ঢাকা রেলওয়ের ঠিকাদার মোস্তাক আহমেদ, সাঈদ আহমেদ, শাকিল, রুবেল, কাজল, উজ্জ্বলসহ অন্যান্য ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ টাকা হতে শুরু করে কাজ বুঝে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেকের কাছ হতে নগদ, কারো কাছ হতে লিখিত ষ্ট্যাম্পে আবার অনেককে ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের চেক দিয়েও লেনদেনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রেলওয়ে ঠিকাদার বলেন সাবেক রেলওয়ের ডিজির সাথে আত্মীতার সম্পর্কের কথা বলে অনেক ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রলোভনে আর্থিক লেনদেন করেছে বলে জানা যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরের প্রধান সহকারী আব্দুল্লাহর কাছ থেকে প্রমোশন করার কথা বলে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রমোশনতো হয়নি বরং তার কর্মক্ষেত্রে তরুণ কুমার সাহার পরিচিত অফিসার দিয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহকে গত ৩ মে ফোন করলে আব্দুল্লাহ তরুণ কুমার সাহাকে চিনেন না বলে অস্বীকার করে। বর্তমানে তরুণ কুমার সাহার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিলেও তার স্ত্রী ও কন্যারা ফোন রিসিভ করে কথা বলে কিন্তু তরুণ কুমার সাহা কারো সাথে যোগাযোগ করছে না বরং উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে এ নিউজ প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। এ প্রতারক কর্তৃক প্রতারণার শিকার ভূক্তভোগীরা আজ টাকা-পয়সা হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিন যাপন করছেন। এ প্রতারকের দ্বারা আর যেন কোন রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদাররা প্রতারণার শিকার না হয় তার জন্য সকলকে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান ভুক্তভোগী একজন ঠিকাদার। উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে আরো তথ্য জানতে তরুণ কুমার সাহার ব্যক্তিগত মোবাইলে অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করলেও তরুণ কুমার সাহা কথা বলতে রাজি হয়নি।