রায়পাড়া শংকরপুর এলাকায় বেড়েছে চুরি, ঘটছে ছিনতাই; পুলিশের তৎপরতা না থাকার অভিযোগ
যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া ও শংকরপুর এলাকায় বর্তমানে চুরি-ছিনতাই চরম আকার ধারন করেছে। প্রতিদিন বা প্রতিরাতে কোন না কোন বাড়িতে চুরি হচ্ছে, নিয়ে যাচ্ছে মালামাল। একইভাবে হচ্ছে ছিনতাই।
এলাকাবাসী বলছেন, সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশের কোন প্রকার কার্যক্রম না থাকায় অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে এসব এলাকার মানুষ চোর ও ছিনতাইকারী আতংকে রাত কাটাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা বলছে, সংঘটিত অপরাধের মূল কারন মাদক। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মাদকাসক্তরা এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দ্রুত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তায় চার বাড়িতে চুরি ও স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চাঁচড়া রায়পাড়া কবর স্থানের পাশের বাসিন্দা দিন মজুর সালাউদ্দিন ওরফে দর্পনের বাড়ি থেকে পরিবারের সদস্যদের কাপড়চোপড় চুরি করে নিয়ে যায়। রায়পাড়া ভোলা কলোনীর প্রাইভেটকার চালক গাজীর বাড়িতে হানা দিয়ে রাতের বেলা তাদের শীতবস্ত্র চুরি করে নিয়ে গেছে চোর চক্র। একইভাবে রায়পাড়া জামতলা এলাকার জসিমের বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে একটি দামি মোবাইল সেট। অপরদিকে গত ২১ নভেম্বর সকাল সাড়ে নয় টার দিকে ছিনতাইকারীরা শহরের শংকরপুর মুরগীর ফার্মগেটের সামনে থেকে মায়া বেগম নামে এক গৃহবধূর স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগিরা অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাধারণ মানুষের টাকায় বেতন নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বহাল তবিয়তে জীবনযাপন করছেন। অথচ মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশের নেই কোন তৎপরতা। গা ভাসিয়ে দিন রাত পার করছে তারা। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। এরা গড়ে তুলেছে একটি চোরাই মার্কেট। চোরাই মালামাল ব্যবসায়ীরা চোর চক্রের কাছ খেকে মালামাল ক্রয় করে থাকে। আর এর সবই হচ্ছে পুলিশের নাকের ডগায়। অথচ পুলিশ রহস্যজনক ভাবে নিরবতা পালন করছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ।