রবিবার - ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ - ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে কুকুরের দাপট! 

রাজশাহীতে কুকুরের দাপট!

 

লোকজনকে দেখে তেড়ে যাচ্ছিল কুকুরটি। কাছে পেলে কামড়ে দেয়। ছাগলও রক্ষা পায়নি কুকুরের কামড় থেকে। এভাবে দুই শিশুসহ কমপক্ষে সাতটি ছাগলকে কামড়ে আহত করেছে ক্ষ্যাপা কুকুরটি। বদলা নিতে সংঘবদ্ধ হয়ে পাড়ার লোকজন পিটিয়ে মেরেছে কুকুরটি। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারায় ঈদের দিন আজ সোমবার দুপুরে।

পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ তিনজন আহত
রাজশাহীর বাগমারার গোপালপুর গ্রামে ঈদের নামাজ পর কয়েকটি ছাগল ও শিশুসহ তিনজনকে পাগলা কুকুরে কামড় কামড়ে আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন ওই গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মাহাবুর রহমান (৩৬), শফিকুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (৬) ও মাহাবুর রহমানের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৩)।
বাগমারা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সরে চিকিৎসক ববিতা রাণী সাহা বলেন, শিশু দুটিকে বেশি কামড়িয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনেরা জানান, আজ দুপুরে একটা কুকুর গ্রামের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কুকুরটি গোপালপুর গ্রামের ভেতরে একটি মাঠের মধ্যে ছাগল দেখতে পেয়ে ধাওয়া করে। এসময় ধাওয়া করে কয়েকটি ছাগলকে কামড়ে দেয়। এছাড়াও লোকালয়ে ঢুকে অস্বাভাবিক ভাবে দৌড়াদৌড়ি করে। এসময় লোকজন কুকুরটিকে লোকালয় থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির বাইরে থাকা দুই শিশুকে হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে। এসময় শিশুকে উদ্ধার করতে আসলে মাহাবুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকেও কামড় দেয়। খবরটি জানাজানি হলে গোপালপুর সাজি পাড়া গ্রামের লোকজন লাঠিশোটা নিয়ে কুকুরটিকে খুঁজতে থাকে। গ্রামের ভেতর দেখতে পেয়ে সংঘবদ্ধভাবে কুকুরটিকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ডোবায় নামলে সেখানে লোকজন কুকুরটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।
পরে লোকজন আহত দুইশিশুসহ তিনজনকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইর থেকে কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিকেলে ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ববিতা রাণী সাহা বলেন, দুই শিশুকে কামড়ে বেশি ক্ষত করেছে। পরিবর বাইরে থেকে ভ্যাকসিন সরবরাহের পর সেগুলো শরীরে পুশ করা হয়েছে। আরও কয়েকটা করা লাগবে। তবে এখন ভ্যাকসিন সরবরাহ নাই।
ওই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ক্ষ্যাপা কুকুরটি গ্রামে ঢুকে আতঙ্কের তৈরি করেছিল। মেরে না ফেলে উপায় ছিল না। এছাড়াও কুকুরটিকে ভ্যাকসিন দেওয়া ছিল না।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, ইউনিয়ন পযার্য়ে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn