
১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে ই.পি.আর এ দায়িত্বরত অবস্থায় দেশ মাতৃকার জন্য পিতার জীবন বিসর্জন। পিতার মৃত্যুর পর পারিবারিক বিপর্যয়ের সময়ে ৪ ভাই-বোন নিয়ে মায়ের সাথে অতি অল্প বয়সে জীবন সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়া। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সিমেন্ট ও রড আমদানীর লাইসেন্স অসুস্থ ব্যবসায়িক প্রতিযোগীতায় কোন প্রকার সুবিধা ভোগের আগেই অকার্যকর হওয়া। জেলা প্রশাসক কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাসস্থানের বরাদ্দপত্র জিয়াউর রহমান এর শাসনামলে বাতিল ঘোষণা। এতোসব মানবিক বির্পযয়ের মধ্যে থেকেই শহীদের রক্তের যোগ্য উত্তরসূরী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় নিজেকে শানিত করে মুজিব আর্দশের পথ চলা শুরু কৈশরের সেই দুরন্তসময়ে। যার ফলশ্রুতিতে অতি অল্প বয়সে ১৯৮৭ সালে হয়েছেন লালখাঁন বাজার ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,১৯৮৮ সালে হয়েছেন আহ্বায়ক।১৯৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারনে তৎকালীন ছাত্র রাজনীতিতে তৈরী করেন নিজের আলাদা গ্রহন যোগ্যতা। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ নীতিনির্ধারনী মহলের বিশেষ আগ্রহে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসাবে স্থান করে নেন ১৯৯৪ এর ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে।১৯৯৬ এর অসহোযোগ আন্দলনে স্বীয় সাংগঠনিক দক্ষতায় হয়ে উঠেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের অঘোষিত প্রতিনিধি। ধারাবাহিক রাজনীতির অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ অলংকৃত করেন।২০০৬ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম.এ আজিজ এর পদত্যাগের দাবীতে চট্টগ্রাম থেকে যে আন্দোলনের সূচনা হয় সেই আন্দোলনে সার্বক্ষনিক সঙ্গী হিসেবে ছিলেন চট্টলবীর আলহাজ্ব এ.বি. এম মহিউদ্দিনের সাথে। সেনা সমর্থিত অবৈধ ব্যক্তি বিশেষ কর্তৃক ক্ষমতা দখলের সময়ে ২০০৭ সালের ১৬ই জুলাই দলীয় প্রধান আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা গ্রেফতারী পরোয়ানায় অবৈধভাবে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন শাসক গোষ্ঠির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চট্টলার রাজপথে প্রথম মিছিলের নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০১৩ সালে ঘোষিত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান করে নেন যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে। কম-বেশী চল্লিশ বছরের ঘাত-প্রতিঘাতময় মুজিব আর্দশে দীর্ঘ এই পথ চলায় হয়েছেন মিথ্যা মামলার আসামি, হয়েছেন কারা কারা নির্যাতিত।
গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারত —- কিন্তু নতুন ইতিহাস তৈরির জন্য যার পথচলা তিনি কি এখানে থামবেন? সাধারণ রাজনৈতিক চিন্তার সীমা ছাড়ীয়ে বিগত ৩০/০৫/২০২২ তারিখে যুবলীগের সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এর উপস্থিতিতে স্বেচ্ছায় যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের পদ ছেড়ে তাদের হাত থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ এই পথ চলায় নিজেকে বার বার শানিত করেছেন রহমতউল্লাহ চৌধুরী, ইসহাক মিয়া, এম.এ মান্নান, আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী মোসলেম উদ্দীন চৌধুরী, কাজী এনামুল হক দানু’র মত প্রথিতযশা নেতাদের সংস্পর্শে থেকে কিন্তু ছায়া খুজে নিয়েছেন আওয়ামী রাজনীতির বটবৃক্ষ চট্টলবীর আলহাজ্ব এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর আশ্রয়ে।
সময় এসেছে দেশ ও দলের প্রয়োজনে তাঁকে আরো বড় পরিসরে মূল্যায়নের, সময় এসেছে সংসদীয় আসন “চট্টগ্রাম-১০” এর তৃণমূল আওয়ামীলীগের মনের চাওয়া পূরনের।