রাউজানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাটগুলো।মঙ্গলবার বিকালে রাউজান নাতোয়ান বাগিচা বাজার পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রচুর পরিমাণ গরু- মহিষ ও ছাগল বেচাকেনা হয়েছে। সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে পশু বেচাকেনা। ক্রেতারা সাধ্যমতে পছন্দের গরুটি কিনছেন।বাজারে যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা অধিকাংশই গরু কিনে ঘরে ফিরছেন।বিক্রেতারা জানান, বাজারে নানা আকারের গরু থাকলেও মাঝারি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা থাকলেও গত কয়েক বছর গুলোর তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি বলে দাবি করেছেন কোরবানি দাতারা। অপরদিকে পশু খাদ্যের দ্বিগুণ বলে দাবি করছেন খামারীরা। মাঝারি সাইজের গরু দামি বেশি হওয়ায় রাউজানে বেড়েছে যৌথ কোরবানি দাতা। রাউজান সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক কোখন জানিয়েছেন, গতবছর মাঝারি সাইজের গরুর দাম ছিল আনুমানিক ৫০-৬০ হাজার টাকা।এবার সেই সাইজের গরু লাখ টাকায় উপরে বেচাকেনা হচ্ছে হাটে। যার কারনে রাউজানে অংশীদার কোরবানি বেড়েছে।দুই-তিন জন অংশীদার মিলে নিচ্ছে গরু।বারাকা এগ্রো ফার্মের মালিক রাউজান উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি সুমন দে জানান,গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার গুখাদ্যের দাম অনেক বেশি। তার উপর গাড়ি ভাড়া, কর্মীদের বেতনসহ অনেক খরচ আছে। সেই হিসাবে একটি গরুর পেছনে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ কারণে এবার গরুর দাম একটু বেশি।গরু বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হচ্ছে না। বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ইউপি সদস্য দিলীপ কুমার দে, জানান, নাতোয়ান বাগিচা বাজারে শেষ মুহূর্তে প্রচুর গরু-মহিষ ছগল বেচাকেনা হয়েছে। বেশি বিক্রি হয়েছে মাঝারি সাইজের গরু। এই বাজারে প্রায় ছোট-বড় ৮০০ গরু ও ছাগল বিক্রি হয়েছে। বাজার পরিচালনা কমিটির কমিটির সদস্য ও মেম্বার প্রবেশ বড়ুয়া জনান,এ বছর এই বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের বেশি গরু বিক্রি হয়েছে। ক্রেতারা তাদের বাজেট অনুযায়ী ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট-মাঝারি গরু বেশি কিনছেন। এই দামের গরু বিক্রিও হয়েছে প্রচুর।বড় গরুর ক্রেতা তুলনামূলক কম হওযায় বড় গরু সেভাবে বিক্রি হয়নি। তবে বারাকা এগ্রো মালিক সমুন দে একটি বড় গরু বিক্রি করেছে ২লাখ ২০হাজার টাকা দিয়ে।৭নং রাউজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু বলেন, রাউজানের সংসদ সদস্য এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর দক্ষ নেতৃত্বের কারণে এই বাজারে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসায়ী ও খামারিরা গরু- ছাগল বেচাকেনা করেছে। বিনা হাসিলে এ বাজারের ব্যবস্থা থাকায় ক্রেতা -বিক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে পছন্দের কোরবানি পশুটি কিনে নিয়ে নিরাপদ মনে বাড়ি ফিরেন।