রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

রাউজানের কর্ণফুলীর পাড়ে বালুর ব্যবসা : ট্রাকের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা

রাউজানের কর্ণফুলীর পাড়ে বালুর ব্যবসা : ট্রাকের চাপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তা

 

রাউজান উপজেলার দক্ষিণাংশে কর্ণফুলী নদী ও হালদার পাড় ঘেঁষে থাকা বাগোয়ান ইউনিয়নের কাঁচা পাকা রাস্তা বালুবাহী ট্রাকের চাপে ধসে দিচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার সীমানায় থাকা কর্ণফুলী ও হালদার চর থেকে বালু খেকোরা বড় বড় যান্ত্রিক নৌযানে নদীর চর কেটে বালু এনে নদী পাড়ের বিভিন্ন পয়ন্টে পাহাড় গড়ে তুলেছে। সেখান থেকে রাতদিন ট্রাকে কওে বিভিন্নস্থানে সরবরাহ দিচ্ছে । স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায় গত দুই বছরে এখানকার মাঝিপাড়া রাস্তায় বালুবাহী ট্রাকের চাপায় মারা গেছে দুব্যক্তি। বালুবাহী অনেকেই বলেছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নয়ন করে দিয়েছেন। উন্নয়ন করা রাস্তা এখন বালুর ট্রাকের চাপে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।
খবর নিয়ে জানা গেছে হালদা-কর্ণফুলী নদীর বালু উঠিয়ে যারা ব্যবসা করছে তারা সকলেই সরকার দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী। একারণে রাস্তাঘাটের ক্ষতি হলেও তাদেও বিরুদ্ধে মুখখোলার সাহস করে না। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায় বাগোয়ান ইউনিয়নের লাম্বুর হাট স্লুইচ গেইট থেকে খেলারঘাট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকায় নদীর পাড়ের কয়েকটি স্থানে বিশাল বিশাল বালুর পাহাড়। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা ড্রাম ট্রাকে বালু বিভিন্ন এলাকায় বালু পাঠাচ্ছে। লাম্বুর হাট স্লুইচ গেইট এলাকায় বালু বোঝাই বড় বড় যান্ত্রিক নৌযানে এসে ভিড়ছে। এসব যান থেকে পাম্পের পাইপের টেনে উপড়ে উঠানো হচ্ছে বালু। বালুর গাড়ির উৎপাতে রাস্তা ভেঙ্গে খালের মধ্যে ধসে পড়ছে। পাশের একটি মন্দিরে বালুবাহী পানিতে ডুবে গেছে। মন্দিরের প্রবেশ পথে কাঁদার মধ্যে হেঁটে পূজার্থীরা পূজা দিতে প্রবেশ করছে। খেলারঘাটে স্কুলের সামনে বিশাল বালুর পাহাড়ের উড়ন্ত বালু স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী নাকে মুখে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই। স্থানীয়রা বলেছেন এখানে বালু ব্যবসার সাথে জড়িত আছে প্রকাশ শীল, উজ্জ্বল, সম্রাট, আরিফ, শ্যামল,বাবুল,টিপুসহ আরো কয়েকজন। কর্ণফুলী ও হালদা চরের বালু ব্যবসার বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে রাউজান উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি রিদোয়ানুল ইসলাম বলেন সেখানে কোনো বালু মহাল ইজারা দেয়া নেই। যদি কেউ নদীর চর থেকে বালু উঠায় তারা অবৈধ ভাবে উঠাচ্ছে। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসকের বরাবরে এব্যাপারে অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn