
রমজান মাস উপলক্ষে ফরিদপুরে ন্যায্য মূল্যের বাজারের শুভ উদ্বোধন
ফরিদপুরে পবিত্র রমজান মাস জুড়ে ন্যায্য মূল্যের বাজারের শুভ উদ্বোধন করলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মোল্লা।।২ মার্চ রবিবার-২৫ তারিখ সকাল ১১ টার দিকে লাভলু মিয় সড়কে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উদ্যোগে (স্বপ্ন সুপারশপের) পাশে এই ন্যায্য মূল্যের বাজারের শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, সর্বসাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই পুরো রমজান মাস জুড়ে এই বাজার থাকবে।আর এই বাজারটি সকাল সাতটা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী এবং বিকাল বেলা থাকবে ইফতার সামগ্রী। এসময় ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাস, সহকারি কমিশনার ফজলে রাব্বি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, ফরিদপুর সদর উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শফিকুর রহমান, ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদউজ্জামান সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার ব্যক্তিবর্গ এই প্রথম ব্যতিক্রম উদ্যোগে ন্যায্য মূল্যের বাজারে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন পবিত্র মাহে রমজান মাস উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য এই ন্যায্য মূল্যের বাজারের আয়োজন করা হয়েছে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে এ বাজার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।রমজানের পবিত্রতা উপলব্ধি করে মানুষকে কোনভাবে কষ্ট দেয়া যাবে না। সাধারণ বাজারের চেয়ে কম মূল্যে জনগণ যাতে পণ্য ক্রয় করতে পারে সে জন্যই এ বাজার বসানো হয়েছে। এই ন্যায্য মূল্যের বাজারে সর্বমোট ২৫ টির মতো দোকান দেয়া হয়েছে। এখানে খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রতি কেজি চাউল ৩০ টাকা, প্রতি কেজি আটা ২৪ টাকা দরে বিক্রি করছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাউল ও আটা কিনতে পারবেন। এছাড়াও এই ন্যায্য মূল্যের বাজারে দুটি গরুর মাংসের দোকান বসানো হয়েছে-এখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৮০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে গরুর মাংসের ব্যাবসায়ী মোঃ ইলিয়াছ শেখের কাছে ৬৮০ টাকা করে মাংস বিক্রয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাস একটি আত্মশুদ্ধির সংযোজমী মাস উপলক্ষে আমরা ব্যবসায়ীক লাভের দিকে না তাকিয়ে সর্বসাধারণের কথা চিন্তা করে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের এই ব্যতিক্রমী ন্যায্য মূল্যের সাথে আমরা একাত্ব ঘোষণা করে এই বাজারে মাংসের দোকান দিয়েছি যাতে করে সবাই একটু কম দামে এখান থেকে মাংস কিনে খেতে পারে। এছাড়াও ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, সোনালী ২৮০ টাকা, ডিম ৪০ টাকা হালি এবং বিভিন্ন প্রকারের মাছের ও দোকান রয়েছে। এই ন্যায্য মূল্যের বাজারে মোছাঃ পারভিন আক্তার যিনি একজন নারী উদ্যোক্তা তিনি এই বাজারে প্রতি কেজি দুধ ৭৫ দরে বিক্রি করেছেন, এসময় নারী উদ্যোক্তা পারভিন আক্তার বলেন, আমাদের সমাজে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা কিনা পবিত্র মাহে রমজান আসলেই দুধ অতিরিক্ত দামে বিক্রয় করে যা সকলের পক্ষে কেনা সম্ভব নয়, এজন্য যাতে করে সবাই কিনে খেতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সারা মাস জুড়ে পাওয়া যাবে আমাদের ভিলেজ মিল্ক দুধ। এসময় ন্যায্য মূল্যের বাজারে আসা কয়েকজন ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই বাজারে এসে কম মূল্যে বিভিন্ন ধরনের বাজার করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং তারা দাবি করেন এই ধরনের ন্যায্য মূল্যের বাজার বছর জুড়ে থাকলে আমাদের সকলের উপকার হবে। এসময় দোকান ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা প্রথম দিনেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন এবং এখানে এসে সবাই তাদের পছন্দের মতো বাজার করছেন।