
রমজান ও আলী (আ.)’র শাহাদত সম্পর্কে বিশ্বনবী (সা.)’র ভাষণ
এম এ সবুর
“” ”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) একবার শাবান মাসের শেষ শুক্রবারে এক হৃদয়স্পর্শী ভাষণ প্রদান করেন, যেখানে তিনি রমজান মাসের মাহাত্ম্য এবং আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী (আ.)’র শাহাদত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী করেন।
তিনি বলেন, রমজান মাস আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমতের মাস। এটি এমন একটি মাস যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাস আল্লাহর জিকরের সমতুল্য, আর মানুষের ঘুমকেও ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়। এই মাসে দোয়া কবুল হয়, রোজাদারদের গুনাহ মাফ করা হয় এবং আল্লাহর দরবারে তাদের বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এই মাসে আত্মসংযম ও নেক আমল করে না, সে প্রকৃত হতভাগা।
রাসূল (সা.) মানুষকে অভাবীদের সাহায্য করতে, এতিমদের দয়া করতে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করতে উৎসাহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রোজার মাধ্যমে মানুষের হৃদয় পবিত্র হয় এবং কিয়ামতের দিনের ক্ষুধা ও তৃষ্ণার অনুভূতি স্মরণ করিয়ে দেয়।
ভাষণের এক পর্যায়ে নবী (সা.) বিশেষভাবে হযরত আলী (আ.)-এর প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “হে আলী! যে তোমাকে হত্যা করবে, সে আমাকে হত্যা করবে, আর যে তোমাকে অপমান করবে, সে আমাকেই অপমান করবে।” তিনি স্পষ্ট করেন যে আলী (আ.) তাঁরই আত্মার প্রতিচ্ছবি, তাঁরই প্রতিনিধি এবং উম্মতের জন্য পরবর্তী পথপ্রদর্শক।
বিশ্বনবীর এই ভাষণ শুধু রমজানের গুরুত্ব বোঝায় না, বরং ইসলামের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা এবং সত্য ও ন্যায়ের পথিকদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের পরিচায়ক। আলী (আ.)-র শাহাদত যে ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হবে, তা বিশ্বনবী (সা.) পূর্বেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।