
যৌতুক ও নির্যাতনের দায়ে শিক্ষক জেল হাজতে
যৌতুক নিরোধ আইনে মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৩) নামে এক শিক্ষক হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে আদালত সূত্রে ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারার মামলায় নেত্রকোণার বিজ্ঞ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয় ।
জানা গেছে, নেত্রকোণার কেন্দুয়া পৌরসভার কমলপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল কদ্দুস খন্দকারের মেয়ে আইরিন খন্দকার বাদী হয়ে গত ১২ জুন ২০২৪ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ।
মামলা মারফত আরো জানা যায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আছারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের মোঃ আব্দুল আলীর ছেলে আগারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আইরিন খন্দকার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন । কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী । এরপরও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সকল অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে যেতে থাকেন আইরিন । স্বামী মোঃ নজরুল ইসলামের যৌতুক বাবদ টাকা দিতে অপারগত প্রকাশ করলে অত্যাচার নির্যাতন ও মারপিট করে ঘটনার ১০ মাস পূর্বে তাকে এক কাপড়ে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলে ভুক্তভোগী এই নারী নিজ পিত্রালয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন । এরপর আইরিনের বাবা বিবাদীর সাথে যোগাযোগ করলে বিবাদী ভুক্তভোগীর পিত্রালয়ে আসে এবং মামলায় উল্লেখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে যৌতুক বাবদ ৫লাখ টাকা দাবি করে । আবারো দাবি মিটাতে অপরাগতা জানালে ও ঘর সংসার করার অনুনয় বিনয় করলেও তাকে নিয়ে সংসার করবে না ও তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে চলে যায় । বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে এ মামলা দায়ের করা হয় ।
কান্না কন্ঠে আইরিন খন্দকার বিজ্ঞ আদালতের কাছে দাবি করে বলেন , আমি যেনো ন্যায় বিচার পাই । কোন নারীই যেনো আমার মতো এমন নির্যাতনের শিকার না হয় । এছাড়াও এর আগে ৫, ৬ ধারায় একটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে আসামি জামিনে ছাড়া পেয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী হুমায়ুন কবির মুঠোফোনে জানান, বিজ্ঞ আদালত সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে জামিন না মঞ্জুর করে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন ।