বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোকে উদ্দেশ করে করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা আজ মানবাধিকারের কথা বলেন তারা বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।
তিনি বলেন, বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আল্লাহর ওয়াস্তে এ ধরনের ঘাতকদের ফেরাতে উদ্যোগ নেন। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।
গতকাল ৩০ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়েজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘১৯৭৫ সালের বর্বরতা: বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শাসনের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এই আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। তখন আমাদের বড় বড় বন্ধুরা যারা এখন মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের মুখ থেকে তখন একটি কথাও বের হয়নি।
তিনি বলেন, তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু তারা তখন নিশ্চুপ ছিলেন। বরং ঘাতক সরকারগুলোকে সাহায্য করেছেন। আর যারা ঘাতক তাদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনও তাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আর সেই নির্বাচনে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই বেছে নেবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দায়মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন।
আলোচনা সভায় মানবাধিকরা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিন ইজহার খান ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।