সোমবার - ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

যশোর জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কার

মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
১৮ আগস্ট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি গভীররাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কি কারণে মারুফ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেটা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট সাঈদীর মৃত্যুর পর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন তার ফেসবুকে সাঈদীর ছবিসংবলিত সংবাদ কার্ড শেয়ার করে। একই সঙ্গে তার মাগফিরাত কামনা করে। এরপর থেকে যশোরের আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা ছাত্রলীগ নেতার পোস্টটি স্কিনশর্ট দিয়ে সমালোচনা ও বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আবার সেই পোস্ট মুছে ফেলেন। এছাড়া মারুফের বিরুদ্ধে গাজা-ইয়াবা সেবনের অভিযোগ উঠে। চলতি বছরে মাদকদ্রব্য সেবনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।
ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হোসেন বলেন, গত ১৩ আগস্ট আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। পরে আমার বন্ধুরা জানান হ্যাককৃত আইডি থেকেই সাঈদীকে নিয়ে একটা পোস্ট হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে আমার আইডিটা ফিরে পেয়েছি। এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডিও করেছি। মাদক সেবনের অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ওগুলো এডিট করা। যারা ছাত্রলীগ করে তারা কখনও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn