বুধবার - ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ১৯শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

যশোরের শার্শায় পৈতৃক সম্পত্তি দখল পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কৃষক রহিত আলী

যশোরের শার্শায় পৈতৃক সম্পত্তি দখল পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কৃষক রহিত আলী

 

যশোরের শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ানের বোয়ালিয়া গ্রামের ভূমিদষ্যুরা কৃষক রহিত আলীর পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত ২৪ বিঘা জমি ভূয়া এবং জাল জালিয়াতি করে জবর দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পৈতৃক সম্পত্তি দখল পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কৃষক রহিত আলী। বৃদ্ধ রহিত আলী বোরো আবাদ করার সময় ঐ সকল জবর দখলকারীরা হুমকি ধামকি দেওয়ার কারনে বোরো চাষ করতে পারেনি। কৃষক রহিত আলী গ্রামের শান্তি প্রিয় মানুষ হওয়ায় ভূমি দষ্যুদের সাথে বাক বিতন্ডায় না জড়িয়ে সুবিচার ও জমি দখল ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করেছেন।
বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত করিম বক্স মোড়লের পুত্র রোহিত আলী অভিযোগে উল্লেখ্য করেছেন, একই গ্রামের ভূমি দোষ্যু মৃত হাসেম সদ্দ্যারের পুত্র আলাউদ্দীন, মৃত বংষ্কার আলীর পুত্র গোলাম হোসেন, মৃত রমজান আলীর পুত্র রবিউল ইসলাম, মৃত আকবর আলীর পুত্র জামাল হোসেন ও মৃত মাওলা বক্সের পুত্র আহম্মদ আলী আমার পিতা করিম বক্স মোড়ল মৃত্যুর পর ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ৩৯নং বিজয় রামপুর মৌজায় ২৬নং খতিয়ান, ৪২নং বোয়ালিয়া মৌজার ১৩১৭ খতিয়ান, ৪৭নং নারায়নপুর মৌজার ৬০১ খতিয়ান এবং ৪৯নং পোড়াবাড়ী নারাণপুর মৌজার ৮৮৫নং খতিয়ানের মোট ২৪ বিঘা সম্পত্তি জালজালিয়াতির মাধ্যমে জবর দখল করে নিয়েছে। দীর্ঘদিন ভুমিদষ্যুদের দখল থেকে পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে পেতে নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। রহিত আলী ঘটনার বিবরনে উল্লেখ করেন ভূমিদষ্যুরা এতটাই ভংঙ্কর যে তারা বিভিন্ন জনকে হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে দলে ভারি করছে যা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। তাছাড়া আমার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সমুদয় সম্পত্তি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিটি খতিয়ানের দাগ অনুযায়ী চলতি সন পর্যন্ত খাজনা দাখিলা ও হাল পর্চা বহাল রহিয়াছে। তার পরও আমার জমিতে আমি যেতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে ঘটনাটি সরেজমিনে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামবাসি ইয়াকুব আলী, আব্দুল আজিজ, মহিদুল ইসলাম, ফয়সাল হোসেন ও ইয়ানুর রহমান এক স্বাক্ষাতকারে জানান, জমি রোহিত আলীর একথা সঠিক। বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য ইতিপূর্বে কয়েক দফায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য শালিসী বৈঠকে মিমাংসা করেছে কিন্তু প্রতিপক্ষরা শালিসী মিমাংসা মেনে নেয়নি।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কাজী নাজিব হাসান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য স্থানীয় তহশীল অফিসে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn