রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

যশোরের অভয়নগরে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সেনাবাহিনীর নগ্ন হস্তক্ষেপ

যশোরের অভয়নগরে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সেনাবাহিনীর নগ্ন হস্তক্ষেপ

যশোরের অভয়নগরে আদালতে বিচারাধীন বিষয়ে সেনাবাহিনীর নগ্ন হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস‍্য ও অভয়নগর উপজেলার কাপাশহাটি গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন ২০২১-২২ সনে একই উপজেলা ও গ্রামের মৃত সাহেব আলী ফকিরের ছেলে হাজী রিয়াজ উদ্দিনের হাজী মার্কেটে ম‍্যানেজার হিসাবে চাকুরী করাকালীন সময়ে তার নিকটে বাতিল হিসাবে থাকা চেক নিয়ে মালিক রিয়াজ উদ্দিনের নামে ৩টি চেকে(৫ লাখ+৫ লাখ+৩ লাখ) সর্বমোট ১৩ লাখ টাকার চেক ডিজ অনার মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় আলমগীর ওরফে আর্মি আলম ২টি মামলায় (৮ লক্ষ) জিতলে বিবাদী রিয়াজ আদালতে ৪ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে জামিন প্রাপ্ত হন যার নং ১৯৬১/২১, ১৯৬২/২১, JSJ-2, তারিখ ০১/০৮/২৪। কিন্তু ৫ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দেশে ক্ষমতার পট পরিবর্তন ঘটলে সেনাবাহিনী ম‍্যাজিষ্ট্রেসী পাওয়ার পেলে আর্মি আলম তার পরিচয়কে ব‍্যবহার করে অভয়নগর আর্মি ক‍্যাম্প(জেজেআই মিলস লিঃ) বীর-১৪ এ রিয়াজ উদ্দিনের নামে বিষোদগার করে। আর এই বিষয়টিকে সত‍্য হিসাবে রুপ দিতে রিয়াজের বড় ভাই আব্দুস সালাম ফকির ওরফে প্রফেসর সালাম সহযোগিতা করে। গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে আলমের কলিগ ওয়ারেন্ট অফিসার সাজিদ ভিকটিমকে মোবাইলে কল করে ক‍্যাম্পে দেখা করতে বলে। সে অনুযায়ী ১৩ নভেম্বর বুধবার সকালে দেখা করলে ওয়ারেন্ট অফিসার সাজিদ ভিকটিমের সাথে খুবই খারাপ ব‍্যবহার করেন। ভিকটিম বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে জানালেও ওয়ারেন্ট অফিসার সাজিদ বলেন, ঐ সব আদালত মানিনা, সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে ক‍্যাম্প ত‍্যাগ করবি।
ভিকটিম রিয়াজ সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন, ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত আলম ও ওয়ারেন্ট অফিসার সাজিদ হাতে লাঠি নিয়ে আমাকে বার বার মারতে আসে ও অশ্রাব‍্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এভাবে সকাল ৯ টা থেকে থেমে থেমে টর্চার করতে থাকে। এমনকি দুপুরে তারা আমাকে খাইয়েছে, কিছুক্ষণ বিরতির পর আবারও টর্চার করেছে। ৭ টার পর স্ট‍্যাম্পে আগামীকাল সই করতে হবে এবং ১০ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ (চেক বাদেও ২ লাখ বেশি ) দিতে হবে বলে ছেড়ে দেয়। তাদের অত‍্যাচারে এখন আমার আত্মহত্যা ছাড়া করা ছাড়া উপায় নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্মি আলম বলেন, আমি একসাথে টাকা পাওয়ার জন্য ক‍্যাম্পে অভিযোগ করেছি, আদালতের মাধ্যমে টাকা পেতে হলে বহু বছর অপেক্ষা করতে হবে, অত সময় নেই।
ওয়ারেন্ট অফিসার সাজিদের কাছে মুঠোফোনে বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বলেন, বক্তব্য নিতে হলে আপনাকে ক‍্যাম্পে আসতে হবে বলে লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে অভয়নগর ক‍্যাম্পের দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক‍্যাপ্টেন সাফিন আল সাইফ পলক বলেন, রিয়াজের পরিবারের কাউকে আসতে বলেন, তারা কত দিনের ভেতর টাকা দিতে পারবে(২/৩মাসের ভেতর) মর্মে মূচলেকা দিয়ে নিয়ে যাক।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn