রবিবার - ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ - ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - ২৬শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি

মানবিকতার মশাল নিয়ে এগিয়ে চলা এক নির্ভীক মানবাধিকার ও সংবাদকর্মী – লিটু সূত্র ধর

মানবিকতার মশাল নিয়ে এগিয়ে চলা এক নির্ভীক মানবাধিকার ও সংবাদকর্মী – লিটু সূত্র ধর

-মো কামাল উদ্দিনঃ

প্রতিটি সমাজে কিছু মানুষ থাকে যারা নিঃস্বার্থভাবে, সকলের প্রতি এক অদম্য ভালোবাসা নিয়ে কাজ করে, লিটু সূত্র ধর তেমনই একজন আলোকিত মানুষ। তার প্রতি আমার প্রগাঢ় শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণ তার মানবিকতা। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে লিটু মানবতার সেবায় সর্বদা নিবেদিতপ্রাণ। জীবনের কোনো খুঁটি ধরে অহংকার করা তার ধাতে নেই। যে কেউ সমস্যায় পড়লে সে মানুষটিকে সাহায্য করতে ছুটে যায়, তার এই নিরহংকার মনোভাবই তাকে আলাদা করেছে, আর আমার কাছেও তাকে ভীষণ প্রিয় করে তুলেছে।
এই কারণেই আমি তাকে আমাদের পত্রিকা “দৈনিক ভোরের আওয়াজ”- ও আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি দৈনিক- The Daily Banner এ মানবাধিকার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বর্তমান সমাজে মানুষের জন্য কাজ করার মানুষ কমে যাচ্ছে, কিন্তু লিটুর মধ্যে সেই আগ্রহ ও উদ্যম লক্ষ্য করি। সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি তার এই দায়বদ্ধতা আমাকে সত্যিই মুগ্ধ করেছে। তার ভেতরে আমি একজন নিঃস্বার্থ সমাজকর্মীকে খুঁজে পাই, যার মূল ভিত্তি মানবিকতা, সহমর্মিতা, এবং অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ।
লিটুর এই মানবিক মনোভাব ও কর্মযজ্ঞের সাথে আরও একধাপ এগিয়ে আসে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা – “মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক কমিশন” বা আইএইচআরসি। এটি একটি প্রভাবশালী আন্তঃসরকারি বেসরকারি সংস্থা, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবাধিকার, শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আইএইচআরসি তার পথচলায় ১৯৬১ সাল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনের সাথে যুক্ত থেকে নিজস্ব কূটনৈতিক শক্তি অর্জন করেছে। জাতিসংঘের পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের সাথে এর সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর প্রভাব আরও সুদৃঢ় করেছে। প্রফেসর স্যার রাফেল মারসিন ওয়াসিকের নেতৃত্বে, সংস্থাটি বর্তমানে ৭০ থেকে ৭৫টি দেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে আইএইচআরসির নেতৃত্বে রয়েছেন লায়ন মোহাম্মদ ইলিয়াছ সিরাজী, যিনি পিস এম্বাসেডর ও ন্যাশনাল কর্ডিনেটর হিসেবে ১৩ সদস্যের একটি শক্তিশালী দল ও এক হাজারের মতো নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বিগত পাঁচ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে তারাও লিটুর মতো মানবতাবাদী মানুষদের পাশে চায়, কারণ এই ধরনের উদ্যোগগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে একজন নির্ভীক এবং মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন কর্মীর গুরুত্ব অপরিসীম।
লিটু সূত্র ধারার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, তার নিরলস কাজের প্রতি অগাধ সম্মান। আশা করি, এই সমাজে তার মতো মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে, যারা মানবিকতার মশাল হাতে অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবে।
লিটু, তোমার মধ্যে যে মানবিকতা আর সহানুভূতি রয়েছে, তা সত্যিই বিরল। তুমি নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াও, কোনো স্বার্থের কথা না ভেবে। তোমার এই দৃঢ়তা আর সাহস দেখে আমরা সবাই গর্বিত। জীবনের এই পথচলায় তুমি যেভাবে মানবাধিকার আর মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করছো, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
তোমার মতো উদার মানসিকতার মানুষ আমাদের সমাজে সত্যিই প্রয়োজন, যারা মানুষের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করে। তোমার এই নিষ্ঠা আর সততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাও—এই পথেই তোমার সাফল্য অপেক্ষা করছে। তোমার জন্য রইল আমার অগাধ ভালোবাসা আর শুভকামনা। আশা করি, একদিন তোমার এই অক্লান্ত পরিশ্রম সবার নজরে আসবে, এবং তুমি সমাজে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তনের অগ্রদূত হয়ে উঠবে।

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn