মাদক সেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে না পেরে মাদক সেবনকারী মোঃ আরিফ হোসেন (৩৮) নামক আপন ছেলেকে পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহ তপদার সংবাদ সম্মেলন মাধ্যমে ত্যাজ্য ঘোষনা করেছে। শনিবার ২২ জুলাই বিকেলে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ পাঠানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহ্ তপদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার মেঝ ছেলে আরিফ হোসেন উপজেলার সরখাল কমিউনিউটি ক্লিনিকে কর্মরত রয়েছে। ঐ ছেলে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সংস্পর্শে ও তাদের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মাদকাসক্তের সাথে জড়িয়ে পড়ে। মাদকাসক্ত ছেলে আরিফ হোসেনকে মাদকাসক্ত থেকে বারবার তাকে ফিরিয়ে আনতে যথার্থ চেষ্টা করেও তাকে মাদকাসক্ত থেকে ফেরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক, সামাজিক, নেতৃত্ব ও মান সম্মানকে ক্ষুন্ন করার জন্য এলাকার কিছু কুচক্রীমহল ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ছেলে আরিফ হোসেনকে তাদের দলে নিয়ে মাদক সেবনে আসক্ত করে এবং আমার পেছনে লেলিয়ে দেয়। ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে আমার স্হাবর অস্হাবর সম্পদ হইতে কোন হিস্যা না দিয়ে তাকে ত্যাজ্য পুত্র হিসেবে ঘোষনা করেন। ইতিপূর্বে ১৯ জুলাই উপজেলার মূলপাড়া আমার বাড়ীর সামনে থেকে আমার ঐ ছেলেকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক ০৬ (ছয়) পিচ ইয়াবা সহ আটক করে। আটক হওয়ার পর আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোক জন আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে।অদ্য হইতে আমার কিংবা আমার পরিবার পরিজনের কারো সাথে আমার মেঝ ছেলে আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ সহ আমার কোন স্হাবর ও অস্হাবর সম্পত্তিতে তার কোন অংশ থাকিবেনা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে আমার নামের সাথে অভিযুক্ত আরিফ হোসেনের নাম সংযুক্ত করিয়া ভবিষ্যতে কোন সংবাদ প্রচার না করার অনুরোধ জানাই। এবং আইন শৃঙ্খলা সংস্হাকে অনুরোধ করি যারা অভিযুক্ত আরিফ হোসেনের সাথে জড়িত মাদক সেবনকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে এলাকাকে মাদক মুক্ত করার অনুরোধ জানাই। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডিপোটি কমান্ডার মো. সারোয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সফর আলী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলিক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।