
গত ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ইং রোজ বৃহস্পতিবার বিহারের ভূমিদাতা ও পরপারগত জ্ঞাতী উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংঘ মনীষা, থেরোবাদী আদর্শে উজ্জীবিত আলোকবর্তিকা, শীল সমাধি প্রজ্ঞার মূর্তপ্রতিক, জ্ঞানান্বেষী, উপসম্পদা গুরু মৈত্রী প্রদীপ পন্ডিত প্রয়াত সংঘরক্ষিত মহাস্থবির এবং শ্রামণ্য গুরু কর্মজ্যেতি প্রয়াত এ.এস তেজপ্রিয় মহাস্থবির এর স্মরণে অষ্ট উপকরণ সহ সংঘদান সুসম্পন্ন করা হয় এবং বিকেল ২ ঘটিকায় শতাব্দীর প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী সোনাইছড়ি রাজ বিহারের নবরূপকার ও অধ্যক্ষ এম. শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক সুনন্দ স্থবিরকে নিয়ে শান্তির শোভাযাত্রা চন্দ্রঘোনা হয়ে ইছাখালী উপজেলা হয়ে সুচারুভাবে এই শোভাযাত্রা সম্পন্ন হয়। অদ্য ২০ জানুয়ারি ২০২৩ইং রোজ শুক্রবার সকাল বেলা গুরু আচারিয় ও প্রয়াতদের স্মরণে অষ্টপরিষ্কার সহ সংঘদান সুসম্পন্ন করা হয়। দুপুর ১২.৪৫ ঘটিকায় বিনয় বিধান মতে সীমাঘরে মহাস্থবির বরণ অভিধা করা হয়। দুপুর ২ ঘটিকা হতে এই মহান মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান শত শত ভিক্ষুদের এবং উপাসক উপাসিকাদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাউজান বিমলানন্দ বিহারের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ সংঘরাজ স্মৃতিধর ড. শীলানন্দ মহাথেরো, উদ্বোধন করেন উপসঘরাজ শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথেরো, বিশেষ অতিথি উপসংঘরাজ শাসনপ্রিয় মহাস্থবির, প্রিয়দর্শী মহাস্থবির, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণলায় গণপ্রজাতন্তী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মন্ত্রী মি. বীর বাহাদুর উশেসিং এম.পি, প্রধান সদ্ধর্মদেশক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপ-বিহারাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথেরো, বিশেষ অতিথি ছিলেন গণশিক্ষা প্রাথমিক অধিদপ্তর এর অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক, রাঙ্গুনীয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. অর্থদর্শী বড়ুয়া । বক্তব্য রাখেন মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত ধর্মমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত শাসনবংশ মহাস্থবির, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির, ড. ধর্মকীর্তি মহাস্থবির, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংগঠক জে বি এস আনন্দবোধি থের, শাসন রক্ষিত মহাথেরো, অক্ষয়ানন্দ থের, জে. ধর্মবোধি থেরো, জিনানন্দ মহাথেরো, দীপংকর থেরো, শান্তবোধি থের, ধর্মপাল মহাথের, সত্যপ্রিয় থের, তেজপ্রিয় থের, অগ্রলংকার ভিক্ষু, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চট্টগ্রাম সংঘরাজ শাসনশ্রী বিহারের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সদ্ধর্মদিশারী পি. লোকানন্দ মহাথেরো, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শিক্ষক রঞ্জন বড়ুয়া, জাতীয় উদযাপন কমিটির সভাপতি সুমঙ্গল মহাথেরো, সাধারণ সম্পাদক সুনীল কুমার বড়য়া, স্মরণীকা “সুনন্দ স্মারক” সম্পাদনা করেন হিরো এল. বড়য়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৌদ্ধ সমাজে আলোকিত ও সুশিক্ষিত শ্রমণ দান না করলে এই বৌদ্ধ সমাজ একদিন কোথায় দাড়াবে? আজ এই মহাস্থবির বরণোৎসব অনুষ্ঠান দেখে আপনারা যে পূন্য সঞ্চয় করেছেন তার চেয়ে বেশী পূণ্য সঞ্চয় হবে যদি বৌদ্ধ শাসনে আপনার সন্তানকে দান করেন। একজন মহাস্থবির হতে প্রথম শ্রামণ্য জীবন শিক্ষা দীক্ষায় প্রশিক্ষিত হতে হয় এবং ভিক্ষু হয়ে উপসম্পদা লাভের ভিক্ষু হয়ে ১০ (দশ) বৎসর ভিক্ষু জীবন অতিবাহিত করতে হয়। ১০ (দশ) বৎসর পর স্থবির বরণ হয়। ২০ (বিশ) বৎসর পরিপূর্ণ হলে তাকে মহাস্থবির অভিধায় ভূষিত করা হয়। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে মহাস্থবির বরণে অভিধা ব্যক্তি অধ্যাপক সুনন্দ স্থবির। অনেকে পুষ্পমাল্য, এনকার্ড, ফেস্টুন, ওয়াশিং মেশিন দান করেন বরণীয় সুনন্দ স্থবির কে।