
মহাপ্রয়াণে মহাকাব্য
সরিৎ চৌধুরী
এ কেমন মৃত্যু
অবিরাম ছুটে চলা
ধাবমান রৌদ্দুর
মহাপ্রয়াণে মহাকাব্য
কাব্যিকময় জীবনের
প্রস্হান মেনে নেওয়া
কঠিন পাথরসম
বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত, ও আন্তর্জাতিক সংগঠক,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও গবেষক। বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের মহাসচিব প্রফেসর ড.বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার আকস্মিক মৃত্যুর সংবাদ। আমাদের বাঙালি জাতি তার গর্বিত সন্তান হারালো। অনেক কাছে থেকে তেকোটা আমার বাড়িতে ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে দেখা হয়।
সেই তেকোটা সদ্ধর্মোদয় বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসবে মহাসংঘনায়ক বিশুদ্ধানন্দ মহাথেরোর সভাপতিত্বে তৎকালীন ধর্ম৷ মন্ত্রী তপাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ প্রধান অতিথি ও আমাদের পিতা জগদীশ চৌধুরী ভূমিদান করেনবিহারে। ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া ও ড. বিকিরণ প্রাসাদ বড়ুয়া এবং সাংবাদিকদের বাতিঘর বিমলেন্দু বড়ুয়া সবাই আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। তারপর থেকে শহরে মাঝে মধ্যে একটা যোগাযোগ হতো। ২০১০ পরবর্তী নিয়মিত সাংগঠনিকভাবে সম্পর্কে তাঁর নন্দনকানন বাসভবনে যাওয়াটা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে চট্টগ্রাম মুসলিম হলে তারুণ্যের বোধের জাগরণ অনুষ্ঠানে পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন এবং প্রকাশিত স্মারকে একটি মূল্যবাম লেখা প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্য তরুণ প্রজন্মের জন্য ও সাক্ষাৎ হলে বলতেন, সবাই ভাবুন ও লিখতে উৎসাহিত হোন। লেখা- লেখি লাগবে। সংগঠন যারা করে তাদের এ ধরণের মনোভাব পোষণ করা প্রয়োজন। তাই
আমাদেরকে প্রতিদিন এক পৃষ্ঠা হলেও লেখা লেখি করতে অনুপ্রেরণা যোগাতেন। বাসায় নিয়ে কৃষ্টি প্রচার সংঘের আজীবন সদস্য করে নিলেন। অনেক অনেক অনুপ্রেরণার বাতিঘর। আজ মহাকালের যাত্রী। তিনি আমাদের কর্মকান্ডে বেঁচে থাকবেন। বেঁচে আছেন তাঁর নান্দনিক চরিত্রের হাসি মুখে নাম ধরে ডাকার কন্ঠস্বরে। শান্ত সৌম্যকান্ত কি অনাবিল চেহারা। যেন এখনো জীবিত অবস্থায়ই তাঁকে দেখতে দেখতে এ লেখা লিখছি। তুমি থাকবে নীল আকাশে ধ্রুব তারায় তারায়। চেতনায় স্বচ্ছ আলো হয়ে। বিনম্র শ্রদ্ধায় নত আজ হৃদয়।
আপনার দেখানো স্বপ্নের পথেই আমাদের ছুটে চলা অবিরাম। আপনি সবসময় আছেন, থাকবেন আমাদের আর্যমৌনতায়।